Advertisement
Advertisement

টানা ২২ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি বাংলাদেশে

কিন্তু কেন?

Bangladesh bans Hilsa fishing
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 6, 2018 2:02 pm
  • Updated:October 6, 2018 2:11 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: এখন ইলিশের প্রজননের মরশুম। আর সেই কারণে আজ শনিবার থেকে ২২ দিন পর্যন্ত ইলিশ-সহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ  সরকার৷ রবিবার থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ শিকার, বিক্রি, মজুদ, ও সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ বাংলাদেশের দুই জেলা চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷

[রাতভর মারধরের জের! শেওড়াফুলিতে জিআরপি হেফাজতে বন্দির মৃত্যু]

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে খবর, জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন মৎস্যজীবী ইলিশ শিকার করেন৷ এসব জেলেরা ২২ দিন যাতে নদীতে মাছ শিকার না করা হয়, সে জন্য ইতিমধ্যে মাইকিং ও তাঁদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে সচেতন করা হয়েছে৷ মৎস্য আড়ত এলাকায় জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। এই ২২ দিন মৎস্যজীবীদের ২০ কেজি চাল দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে৷ জেলা মৎস্যজীবী লিগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক দেওয়ান বলেন, ‘‘আমরা মৎস্যজীবীদের অভয়াশ্রমকালীন ইলিশ আহরণ না করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে একাধিক সভা করেছি। নদী থেকে জেলেদের নৌকাগুলি তুলে রাখতে বলা হয়েছে। ইলিশ এ সময়ে মিষ্টি জলে নিরাপদ স্থানে ডিম ছাড়তে আসে৷ একটি ইলিশ কমপক্ষে ২২ লক্ষ ডিম ছাড়ে৷’’

Advertisement

[সম্পর্কের শীতলতা নাকি সন্দেহে খুন, প্রেমিকাকে গুলি কাণ্ডে ঘনাচ্ছে রহস্য]

Advertisement

চাঁদপুর জেলা মৎস্য আধিকারিক আসাদুল বাকি বলেন, ‘‘নিরাপদে ডিম ছাড়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় জেলা ট্রাস্কফোর্স সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। আর এই ২২ দিন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা রুটিন অনুযায়ী নদীতে দায়িত্ব পালন করবে৷ যদি কোনও মৎস্যজীবী আইন অমান্য করেন, তাহলে তাঁকে মৎস্য আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হবে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ