Advertisement
Advertisement
Bangladesh

অধিকাংশ স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক, বাংলাদেশে নিয়ম শিথিল করে শূন্যপদ পূরণের প্রস্তাব

সোমবারই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

Bangladesh is going to ease the rule of fulfilling Head Masters posts as there are many vacancies | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 25, 2022 1:30 pm
  • Updated:April 25, 2022 1:36 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) অধিকাংশ সরকারি হাইস্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক। যার জেরে প্রশাসনিক কাজকর্মে জটিলতা এবং বিলম্ব হচ্ছে। আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন হতশ্রী দশা বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে। কারণ হিসেবে উঠে আসছে অবসর ও পদোন্নতির কারণে অন্যত্র স্থানান্তর। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সোমবারই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসছে। শূন্য পদ পূরণের জন্য শর্ত শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে খবর।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক (Head Teachers) হতে হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঁচ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা খুব কম। তাই এতদিন পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার নিয়মটি লাগু করা হতে পারে। দু’বছর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কাজ করলেই পদোন্নতির অনুমোদন দিতে চলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

[আরও পডুন: বগটুইয়ে ক্ষতিপূরণ নিয়ে মামলা, রাজ্যের কাছে জবাব তলব করল হাই কোর্ট]

তথ্য অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে বর্তমানে ৩৫১টি প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। তার মধ্যে ২৪৪টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। এই কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা যেখানে সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই, সেখানে সিনিয়র কোনও সহকারী শিক্ষকের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব। অন্যদিকে, ১৮ জেলা শিক্ষা অফিসারের পদও শূন্য। এই পদগুলি প্রধান শিক্ষকের সমমানের পদ।

Advertisement

[আরও পডুন: তুঙ্গে বিজেপির ঘরোয়া বিবাদ, এবার তমলুক সাংগঠনিক জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ শুভেন্দুর]

এই মুহূর্তে ২৪৪ টি প্রধান শিক্ষক পদ ফাঁকা থাকলেও সবক’টি এখনই পূরণ হবে না। কারণ, নিয়োগবিধি অনুসারে মোট শূন্য পদের ৮০ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। বাকি ২০ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ হবে। দু’বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বয়সের শর্ত শিথিল করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে, এমন শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ২৬২। তবে এর মধ্যে ৮০ জনকে পদোন্নতির জন্য অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম টুকু জানাচ্ছেন, নিয়োগবিধি অনুসারে ফিডার পদ পূর্ণ না হলে পদোন্নতি দেওয়া যায় না। তবে সরকার চাইলে আইন সংশোধন করে পদোন্নতি দিতে পারে। এবার দু’বছরের নিয়ম শিথিল করায় প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ