Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার মাদক পাচারে মৃত্যুদণ্ড, নয়া আইন আনতে চলেছে বাংলাদেশ

মাদক পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হাসিনার।

Bangladesh mulls death penalty got drug traffickers

মাদক পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হাসিনার।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 9, 2018 3:50 pm
  • Updated:October 9, 2018 3:50 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাদক পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে মিলতে পারে মৃত্যুদণ্ড৷ এবার এমনটাই আইন প্রণয়ন করতে চলেছে বাংলাদেশ৷ ইতিমধ্যেই, মাদক পাচারের রমরমা রুখতে এই নয়া আইন আনার প্রস্তাব নীতিগত সমর্থন পেয়েছে৷

[এবার বাংলাদেশি ভূখণ্ডে নজর মায়ানমারের, কড়া প্রতিক্রিয়া ঢাকার]

Advertisement

জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত বিলটির নাম ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮’৷ এতে বলা হয়েছে, পাঁচ গ্রামের বেশি ইয়াবা, ২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন অথবা কোকেন উৎপাদন, পাচার, বিক্রি বা সেবনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। সোমবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটিকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ের তরফে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মহম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, এর আগে ১৯৯০ সালে মাদক পাচার রুখতে একটি আইন প্রণয়ন করা হয়। তবে ওই আইনের আওতায় অনেক মাদকই ছিল না৷ নয়া আইনে সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে৷ এবারে সমস্ত মাদকই এই আইনের আওতায় আসবে৷ এবার থেকে ৫ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়কে ‘বিয়ার’ বলা হবে। তিনি আরও জানান, অ্যামফিটামিন বা ইয়াবার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। এটিকে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে। ইয়াবা ৫ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে, পাশাপাশি আদালত আর্থিক জরিমানাও করতে পারবে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তকরণের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করা হবে।সেই নির্ধারিত পদ্ধতিতেই ডোপ টেস্ট করা যাবে। টেস্ট পজিটিভ হলে কমপক্ষে ছয় মাস ও সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে।                              

Advertisement

গত মে মাসের ১৪ তারিখ থেকেই মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে এলিট বাহিনী ব়্যাব। রাজধানী ঢাকা-সহ একাধিক জেলায় লাগাতার হানায় নিকেশ হয় শতাধিক সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী। তবে, সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ, চলতি বছরের শেষেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। তার আগেই পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে আওয়ামি লিগ সরকার।

[H2O মানে রেস্তোরাঁ! বাংলাদেশি সুন্দরীর উত্তর শুনে হেসে খুন বিচারক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ