সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে কিছুতেই কমছে না করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে ইদ উপলক্ষে ঘরমুখো লক্ষ লক্ষ মানুষ। চিকিৎসক মহল মনে করছে, শহর থেকে এবার গ্রামেও দ্রুত গতিত ছড়িয়ে পড়বে কোভিড-১৯ ভাইরাস।
[আরও পড়ুন: আসছে আমফান, বাংলাদেশের দুটি সমুদ্র বন্দরে জারি সর্বোচ্চ বিপদ সংকেত]
বুধবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭০ জনের। আক্রান্ত অনেকেই। এহেন পরিস্থিতিতে ইদে বাড়ি ফেরার তাগিদে রাজধানী ঢাকা থেকে ঢল নেমেছে গ্রামমুখো মানুষের। বাস-মিনি বাস না চললেও ঢাকার রাস্তায় বিপুল পরিমাণে নেমেছে ব্যক্তিগত গাড়ি। বাস চলাচল বন্ধে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। জমায়েত এড়াতে চেকপোস্টে চলছে তল্লাশি। তারপরও ঘরে ফিরতে ব্যাকুল মানুষ হেঁটে পেরিয়ে যাচ্ছেন এসব চেকপোস্ট। সেগুলি পেরিয়ে সামনে গিয়ে পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, ট্রাক-সহ অন্যান্য যানবাহনে চেপে মানুষের ঢাকা ত্যাগ করার চিত্র চোখে পড়ার মতো। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গের মানুষকে দেশে ফিরতে হলে বিশাল পদ্মা নদী পাড়ি দিতে হয়। বাসের মতো লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে পণ্য পরিবহন ও সরকারের জরুরী পরিষেবা কাজের জন্য কিছু ফেরি চলাচল করছে। ওই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।
মানুষের এই বিপুল ঢল কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অসহায় অবস্থা পুলিশের। লক্ষ লক্ষ মানুষের চাপে চেকপোস্টগুলি অচল হওয়ার দশা। মন্ত্রিপরিষদ থেকে ১৫ দফা নির্দেশিকা জারি করে সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়, সাধারণ ছুটি ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় কেউই কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এই সময়ে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। ২৪ মে ইদ উদযাপন করতে গত রবিবার থেকেই ঢাকা থেকে ঘরে ফিরতে উদগ্রীব মানুষ। যা দিন দিন আরও বেড়ে যাচ্ছে। ঘরমুখী মানুষ দলে দলে পায়ে হেঁটে ঢাকা ছাড়ছেন। অনেকে গাড়ি থেকে নেমে চেকপোস্ট পেরিয়ে অন্য যানবাহনে উঠে ঢাকা ছাড়ছেন। সব মিলিয়ে এহেন পরিস্থিতিতে এবার গ্রামাঞ্চলে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও বেড়েছে।