ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: কড়া নাড়ছে বর্ষা। প্রবল বর্ষণে জল জমে লঙ্কার ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এমনটা হলে জোগান কমে গিয়ে প্রভাব পড়তে পারে বাজারদরে। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পাড়ে দাম। তাই মূল্যবৃদ্ধি রুখতে ‘লঙ্কা বাঁচাও’ অভিযান শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেছেন, “আমি মনে করি, এখনই কাচাঁলঙ্কা কিনে শুকিয়ে রাখুন। যখন দাম বাড়বে তখন সেটা ভিজিয়ে খাবেন। একটু ভিজিয়ে নিলেই আসল কাঁচা মরিচের স্বাদ পাওয়া যায়।” আজ বুধবার ঢাকায় গণভবনে সুইজারল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। কালোবাজারি, সিন্ডিকেট রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকার নিচ্ছে উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, “বৈশ্বিক খাদ্যমন্দা ঠেকাতে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের উৎপাদন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
এদিন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মায়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য রাষ্ট্রসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। হাসিনা বলেন, “এই সফরে ১৪ জুন রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে আমি রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মায়ানমারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য ইউএনএইচআরের প্রতি আহ্বান জানাই।” তিনি আরও বলেন, “একইসঙ্গে আমি ভাসানচরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একাংশের সাময়িক স্থানান্তর ত্বরান্বিত করতে তাদের সহায়তা চাই। আমি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সহায়তা-সহ আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি।”
নির্বাচনী হিংসার অভিযোগে হাসিনা বলেন, “আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে। সচিত্র ভোটার তালিকা আছে। ভুয়ো ভোটার নেই। সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে। জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে আছি, না হলে নেই। আমি জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি।” বিএনপিকে তোপ দেগে হাসিনা বলেন, “যারা আমাদের ভোটচোর বলে তারা তো ভোট ডাকাত। কারণ তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, অবৈধভাবে ভোট ডাকাতি করেই এসেছে। উনিশশো পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইলেকশন বলে কিছু ছিল না। ভোটের অধিকার ছিল না। আমরাই আন্দোলন করে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.