Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan

মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ দশক পর বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ছয় যুদ্ধাপরাধী

বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল ধৃতরা।

Bangladesh police nabs six war criminals | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 26, 2021 4:45 pm
  • Updated:October 26, 2021 4:45 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় ৫০ বছর। পূর্ব-পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ (Bangladesh) হয়ে ওঠার প্রায় পাঁচ দশক পরে গ্রেপ্তার করা হল ছয় যুদ্ধাপরাধীকে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার কথা স্বীকার করল ইকবাল]

দেশের পশ্চিমের জেলা যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার থেকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে অত্যাচার চালানো ছয় যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনাল’-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ধৃতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ সোমবার অভিযুক্ত ছয় রাজাকারকে গ্রেপ্তার ও তাদের ঢাকায় পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ফিরোজউদ্দিন।

Advertisement

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধচারণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৭ সালে এই ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার পর ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২৩ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ এসে পৌঁছায় যশোর জেলা পুলিশের কাছে। জেলা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বাঘারপাড়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়।

Advertisement

২৪ অক্টোবর রাতে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপন সরকার ও বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজউদ্দিনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযুক্ত ছয় যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নাম হচ্ছে– আবুল হোসেন, হোসেন আলি, আবু বক্কর, আগড়া গ্রামের লুৎফর রহমান, খয়বার রহমান ও নুর ইসলাম।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থার সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন জানান, ১৯৭১ সালের ৫ জুন অভিযুক্ত রাজাকার আবুল হোসেন-সহ ১০-১২ জন সশস্ত্র রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, কাওছার আলি, ইকরাম আলি ও আজিবর বিশ্বাসের বাড়ি-সহ ১০-১২টি বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। তৎকালীন আওয়ামি লিগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আশেক আলিকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে বাঘারপাড়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন চালায়। ওই দিন রাতে মুক্তিযোদ্ধা আশেক আলি-সহ বেশ কয়েকজনকে পাশের চিত্রা নদীর পাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে তারা।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার কথা স্বীকার করল ইকবাল]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ