Advertisement
Advertisement

Breaking News

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সতর্ক ঢাকা, নিষিদ্ধ রোহিঙ্গা সমর্থক তিন সংগঠন

জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত।

Bangladesh: Rohingya aid organizations face terror scanner
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 13, 2017 8:42 am
  • Updated:July 11, 2018 3:29 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে এক নতুন সমস্যা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে ক্রমশ জাল ছড়ানোর চেষ্টা করছে মৌলবাদীরা। ফলে চরম উদ্বেগে নিরাপত্তামহল। অভিযোগ, ত্রাণ বিতরণের নামে বহু ইসলামিক সংগঠন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এমনই তিন সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ঢাকা।

[ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করতে চলেছে উত্তর কোরিয়া!]

Advertisement

প্রশাসনের আশঙ্কা, শরণার্থী সমস্যার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুকে কাজে লাগিয়েই সহায় সম্বলহীনদের মগজধোলাই করতে পারে ওই ধর্মীয় সংগঠনগুলি। ছড়াতে পারে সন্ত্রাসবাদের বীজ। এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যুটি দুনিয়ার সামনে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে বলে দাবি মায়ানমারের কম্যান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের। তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। তাদের উসকানি ও ষড়যন্ত্রের জেরেই দুনিয়ার সামনে মায়ানমারকে পর্যুদস্ত হতে হচ্ছে। বুধবারই মায়ানমারের দিকে আঙুল তোলে রাষ্ট্রসংঘ। বলে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের সেনারা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশছাড়া করিয়েছে। দেশে ফিরে আসার কোনও পথ থোলা রাখেনি। তবে মিন অং এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাঙালি। তারা দেশ ছেড়ে এমন এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে যেথানকার ভাষা ও সংস্কৃতি তাদের সঙ্গে মিলে যায়। অতএব এই বিষয় নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার কোনও কারণ নেই।

Advertisement

[আরও বিপাকে খালেদা জিয়া, ফের জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]

দেশের ত্রাণপ্রদান ও উদ্ধারকারী সংগঠনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আল্লামা ফজলুল্লা ফাউন্ডেশন, মুসলিম এইড অ্যান্ড ইসলামিক রিলিফ ইত্যাদি। এছাড়াও বহু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সংগঠন রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াতে চায়। তবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে তাদের হাজিরায় লাল সংকেত দেখিয়েছে হাসিনা প্রশাসন। নিষিদ্ধ করা হয়েছে এরকম তিনটি সংগঠন। তাই তারা কোনওমতেই কক্সবাজারের উদ্বাস্তু শিবিরে গিয়ে ত্রাণের কাজ চালাতে পারবে না। তাদের সেবামূলক কাজে কোনও প্রশ্ন তোলা না হলেও জাতীয় নিরাপত্তার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ