BREAKING NEWS

১৭ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ১ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রান্নার জ্বালানি জোগাতে বন উজাড় কক্সবাজারে

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: June 5, 2018 11:08 am|    Updated: July 11, 2018 2:49 pm

Bangladesh: Rohingya refugees sparks utter deforestation

সুকুমার সরকার, ঢাকা: মানবিকতার নজির গড়ে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে প্রবল চাপে উন্নয়নশীল দেশটির অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, উদ্বাস্তুদের জন্য এবার ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশের বনাঞ্চল। ফলে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা।

[পরমাণু বোমা থেকে বাঁচতে তৈরি গোপন বাঙ্কার, ঠিকানা লুকোতে কারিগরকেই খুন]

জানা গিয়েছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রতিদিন জ্বালানি হিসেবে ২ হাজার ২৫০ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এসব কাঠ সংগ্রহ করা হচ্ছে কক্সবাজারের বিভিন্ন জঙ্গল থেকে। এভাবে চললে ২০১৯ সালের মধ্যে জেলাটির উখিয়া উপজেলার বনাঞ্চল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট ও কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম। সেখানেই এই ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরা হয়। বনসম্পদ রক্ষার জন্য একটি তহবিল গঠনের জন্যও আহ্বান জানানো হয়। কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক বরকত উল্লাহ মারুফ বলেন, “বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লক্ষ রোহিঙ্গার দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে উখিয়া উপজেলার ২১টি খাল সম্পূর্ণ দূষিত হয়ে গেছে। ওই খালগুলির ওপরই কৃষি ও গৃহস্থলির কাজের জন্য স্থানীয় মানুষ নির্ভরশীল। শরণার্থী শিবির থেকে প্রতি মাসে ১০০ টন করে বিক্রয়যোগ্য বর্জ্য সংগ্রহ করছেন ব্যবসায়ীরা।” কয়েকদিন আগে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়, এখনও পর্যন্ত ধ্বংস হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বনসম্পদ। বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের স্থায়ী ক‌মিটির সভাপ‌তি ড. হাসান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের গাছ কাটা হয়েছে।

২০১৭-র আগস্ট মাস থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ও বার্মিজ সেনার মধ্যে শুরু হয় রক্তাক্ত সংঘাত। সেনাঘাঁটিতে রোহিঙ্গাদের হামলার জবাবে ভয়াবহ পালটা অভিযানে নামে সরকারি বাহিনী। অভিযোগ, জঙ্গিদমন অভিযান গড়ায় গণহত্যায়। তারপরই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে কয়েক লক্ষ শরণার্থী। প্রথমদিকে ভিটেমাটি হারানো রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলেও পড়ে বাংলাদেশের অন্দরেই উঠে ক্ষোভের ঢেউ। হত্যা, ধর্ষণ ও মাদক পাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে শরণার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় শিবিরের প্রায় ৬০৭ জন শরণার্থীকে বিভিন্ন অপরাধে সাজা শুনিয়েছে আদালত।

[যাত্রীর গায়ে মারাত্মক দুর্গন্ধ! জরুরি অবতরণ বিমানের]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে