Advertisement
Advertisement
শেখ হাসিনা

‘CAA’র কোনও প্রয়োজন ছিল না’, নাগরিকত্ব আইন বিরোধীদের পরোক্ষে সমর্থন হাসিনার

CAA-NRC'র আতঙ্কে ভারত থেকে বহু সংখ্যালঘু বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, গুজব ওড়ালেন হাসিনা।

Bangladesh's prime minister Sheikh Hasina supports CAA protestor
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 19, 2020 5:43 pm
  • Updated:January 19, 2020 5:43 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা:  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম উল্লেখ না করে সুকৌশলে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধীদের পাশে দাঁড়লেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। CAA‘র কোনও প্রয়োজন ছিল না বলেই মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া CAA-NRC’র আতঙ্কে ভারত থেকে বহু সংখ্যালঘু বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, এই গুজবও উড়িয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে হাসিনা বলেন, ” CAA ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি বুঝতে পারছি না, কেন CAA করা হল। এর কোনও প্রয়োজন ছিল না। ভারত সরকার সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দু-সহ কয়েকটি ধর্মাবলম্বীদের ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সংশোধনের কারণ ব্যাখ্যা করে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হিন্দু-সহ এসব ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বিভিন্ন সময়ে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তার আগে অসমে নাগরিকপঞ্জি প্রণয়ন করা হয়, যাতে ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্যটিতে নাগরিকের তালিকা থেকে বাদ পড়েন বহু মানুষ। অসমের অনেকের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে গিয়ে অনেকে ওই রাজ্যে বসবাস করছেন। এদিকে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ভারতে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। “

Advertisement

[আরও পড়ুন: মায়ানমার সফরে শি জিনপিং, রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণ নিয়ে চিন্তায় বাংলাদেশ!]

বাংলাদেশে ১ কোটি ৬০ লক্ষ হিন্দু (মোট জনসংখ্যার ১০.৭ শতাংশ) রয়েছেন, এই তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি নাকচ করেন। নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর আশঙ্কায় ভারত থেকে বাংলাদেশে অনেকে চলে যাচ্ছেন বলে খবর রটেছিল। তবে হাসিনা এই বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, “ভারতের মধ্যেই মানুষকে অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তবে কেউ এখানে আসছেন না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও বলে আসছে। গত বছরের অক্টোবরে আমার নয়াদিল্লি সফরের সময়ও নরেন্দ্র মোদি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, এটা তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

Advertisement

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই সমস্যার শুরুটা যেহেতু মায়ানমারে, সেহেতু তাদেরই সমাধান করতে হবে। মায়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে ১১ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থেকে তারা ফিরতে চাইছে না।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ