সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রাজধানী ঢাকায় স্থগিত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এসব প্রদর্শনীতে চিনের প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের আধিক্য থাকায় তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) আয়োজনে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে আয়োজন হওয়ার কথা ‘টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি’র প্রদর্শনী। কিন্তু বিটিএমএ’র সচিব মনসুর আহমেদ বলেন, “ওই প্রদর্শনী আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী। এতে ৩৬টি দেশের ১ হাজার ৬৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে চিনা প্রতিষ্ঠানই প্রায় ৩০০। এছাড়া বাতিল হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক এক্সপো। ঢাকায় বাণিজ্য-সংশ্লিষ্ট বড়ো আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজকদের অন্যতম ‘সেমস গ্লোবাল’। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত তিনটি প্রদর্শনী স্থগিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফেব্রিক শো, খাদ্যপণ্য এবং মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট ও হেলথ ট্যুরিজমের প্রদর্শনী। চলতি মাস থেকে আগামী এপ্রিল নাগাদ এসব প্রদর্শনী হওয়ার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, ভাইরাস মোকাবিলায় তৎপর বাংলাদেশ। এই মারণ রোগের হামলা ঠেকাতে বিদেশ থেকে ফেরত আসা সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২১ জানুয়ারি বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারির পর এ পর্যন্ত ২১ হাজার ২২২ জন যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এর আগে অভিযোগ ওঠে, বিমানবন্দরে চিন ফেরত যাত্রীদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় গাফিলতি করা হচ্ছে। সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক এই অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করতে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। চিন থেকে ফেরত আসা এক মহিলার ফেসবুক লাইভ নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ উদ্ধৃত করে মুজিবুল হক অভিযোগ করেন, ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। পাঁচ ঘণ্টা পর লিখে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় গাফিলতি, অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতে কিছু যাত্রী পরীক্ষা ছাড়াই বেরিয়ে গিয়েছেন।