Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

ঢাকা বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০, আতঙ্কিত রাজধানী

এখনও আতঙ্কিত রাজধানীর বাসিন্দারা।

Death toll in Bangladesh blast rises to 20 | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 9, 2023 12:13 pm
  • Updated:March 9, 2023 12:13 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকা বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০। এখনও আতঙ্কিত রাজধানীর বাসিন্দারা। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত বিল্ডিংটি থেকে আরও দেহ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গিয়েছে, বুধবার বিধ্বস্ত বিল্ডিংটি থেকে আরও দু’টি দেহ উদ্ধার করেন দমকল কর্মীরা। এনিয়ে বিস্ফোরণের নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০। উদ্ধার হওয়া দু’জনের একজনের নাম মমিনুদ্দিন সুমন। তিনি বিধ্বস্ত ভবনের ব্যবসায়ী ছিলেন। আনিকা এজেন্সির মালিক সুমনের আরও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সব মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা শতাধিক। অন্যজন রবিন হোসেন (২০)। তিনি সুমনের দোকানের কর্মী। রবিনের ভাই শাহাদত হোসেন তাঁর লাশ সনাক্ত করেন। রাজধানীর জুরাইনে থাকতেন রবিন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায়।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার গুলিস্তান। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু সবেবরাত। তার ঠিক আগেই এই ধরনের বিস্ফোরণকে সন্ত্রাস হানা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আটতলা ভবনের একতলা ও দোতলায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। বাড়িটি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে বেসমেন্টে প্রবেশ করতে পারছে না উদ্ধারকারী দল। সেখানে আরও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রয়ারি মাসে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম চিঠি পাঠিয়ে ঢাকা বইমেলায় বোমা হামলার হুমকি দিয়েছিল। গতবছর বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করে নতুন জঙ্গি সংগঠন। দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলে হিংসার মেঘ তৈরি করে জন্ম নিয়েছে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া’। এমনটাই খবর গোয়েন্দা সূত্রে। ইতিমধ্যে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে সংগঠনটি বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে পাইপলাইনে ডিজেল রপ্তানি শুরু, যৌথ উদ্বোধন মোদি-হাসিনার]

উল্লেখ্য, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম এই উপজেলাগুলো নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবিতে লড়াই করছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ)। তাদের দাবি, তারা বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি এই ছয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে। কেএনএর দাবি, তাদের সামরিক শাখার শতাধিক সদস্য গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মায়ানমারের কাচিন প্রদেশে পাড়ি জমায় বছর তিনেক আগে। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল বংলাদেশে ফিরে আসে। 

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ আগুন, নেপথ্যে নাশকতা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ