সুকুমার সরকার, ঢাকা: হিংসার বলি শৈশব। আততায়ীদের হাতে বাবা-মা কে হারিয়ে অথৈ জলে প্রায় ১১ হাজার রোহিঙ্গা শিশু। দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে মায়ানমারে চলা সংঘর্ষে খুন হয়েছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। নিহতদের সন্তানরা প্রতিবেশী ও আত্মীয়ের সঙ্গে পালিয়ে এসেছে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে। সেখানেই আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার অনাথ রোহিঙ্গা শিশু।
[বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হিন্দুদের গণহত্যায় জড়িত ২২ রোহিঙ্গা জঙ্গি]
নিকট আত্মীয়দের হারিয়ে এখন দিশেহারা অনাথ শিশুরা। প্রশ্নের মুখে তাদের ভবিষ্যৎ। কে দায় নেবে এই অনাথদের? উঠছে এমন প্রশ্নই। তবে মানবিকতার নজির গড়ে ওই শিশুদের মদতে এগিয়ে এসেছেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য একটি আলাদা শিবির গড়ে তোলার আদেশ দিয়েছেন তিনি। সেখানে ওই শিশুদের দেখভালের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
তবে মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় দিলেও, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়েছে ঢাকা। সম্প্রতি ত্রাণ বিতরণের নামে বহু মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ইসলামিক স্টেট, আল কায়দার মতো জঙ্গিগোষ্ঠী প্রভাব ঠেকাতে কড়া নজর রাখা হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপর। নিরাপত্তারক্ষীদের রাডারে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ধর্মীয় সংগঠন। সদ্য সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর অভিযোগে তিনটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা।
[সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সতর্ক ঢাকা, নিষিদ্ধ রোহিঙ্গা সমর্থক তিন সংগঠন]