Advertisement
Advertisement

ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবি, টঙ্গিতে পোশাক কারখানায় আগুন শ্রমিকদের

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন বিজিবি৷

Fire guts Bangladesh garment factory
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 10, 2019 4:09 pm
  • Updated:January 10, 2019 4:09 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবি ছিল৷ সঙ্গে যোগ হয়েছে আন্দোলনের মাঝে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবি৷ দু’য়ে মিলে নতুন করে উত্তপ্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা৷ একটানা ছ’দিন ধরে চলা শ্রমিক আন্দোলনে উত্তপ্ত সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গি৷ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ওই এলাকার বেশিরভাগ পোশাক কারখানা ভাঙচুর করে৷ দু’টি কারখানায় আগুনও লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা৷ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একশোরও বেশি শ্রমিক গুরুতর জখম হয়েছেন৷

[যুদ্ধাপরাধী জামাতের বিচারে আইন সংশোধনের উদ্যোগ]

গত বছরের ২৯ নভেম্বর ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি কাঠামোর অসঙ্গতি সংশোধন এবং মজুরি বৃদ্ধি-সহ বিভিন্ন দাবিতে গত শনিবার থেকে আন্দোলনে শামিল শ্রমিকরা৷ উত্তপ্ত সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গি-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা৷ শিমুলতলা এলাকার রাস্তায় বড় বড় পাথর ও ময়লার বস্তা ফেলে গাড়ি চলাচল আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। কারখানা লাগোয়া রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন শ্রমিকরা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা৷ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে পালটা ইটবৃষ্টি৷ আন্দোলনের জেরে সুমন খাঁ নামে বছর তেইশের এক শ্রমিক মারা যান৷ শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও জটিল আকার ধারণ করেছে এই আন্দোলন৷ শ্রমিক মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার টঙ্গীর পোশাক কারখানার সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়৷ অভিযোগ, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকার বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় ভাঙচুর করেন৷ আগুনও লাগিয়ে দেন তাঁরা৷ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা একশোর গণ্ডি পেরিয়েছে৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার কালশী, উত্তরার আবদুল্লাহপুর, আজমপুর ও দক্ষিণখান এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল শ্রমিকেরা।

Advertisement

[বাইকে চড়ে প্রথম দিন কাজে গেলেন হাসিনার মন্ত্রী]

আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে তৎপর প্রশাসন৷ উত্তরা, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় আট প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি প্লাটুনে রয়েছেন ৩০ জন বিজিবি৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলবে টহলদারি৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ