Advertisement
Advertisement
Rohingya

ফের রোহিঙ্গা শিবিরে গুলির লড়াই, বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠীর সংঘর্ষে নিহত ৪

ফের উত্তপ্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির।

Four more killed at Bangladesh Rohingya camp in shootout | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 7, 2020 3:36 pm
  • Updated:October 7, 2020 3:36 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের কক্সবাজারের রোহিঙ্গা (Rohingya) শিবিরে গুলির লড়াই। কিছু রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে ফায়দা তুলতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ। উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আরও ৪ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এক মহিলা-সহ নয়জন নিহত হয়েছে। এরআগে দুই দফায় পাঁচজন নিহত হয়।

[আরও পড়ুন: ‘জেহাদি বধূ’র আত্মকথা, ইসলামিক স্টেটের বর্ণনা দিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তানিয়া]

জানা গিয়েছে, এবার সংঘর্ষ বেঁধেছে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে রাতভর চলা সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে। গত শনিবার রাতভর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। শরণার্থীদের অনেকেরই অভিযোগ, ক্যাম্পে ইয়াবা পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর সঙ্গে আরেক সন্ত্রাসী বাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে উভয় গ্রুপ আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ১ ঘণ্টা উভয় গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে গুলিযুদ্ধ হয়। ভারি অস্ত্রের পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র নিয়েও দুই দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নিহতদের মধ্যে সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াসও রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ৪ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

Advertisement

গত শনিবার কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ দফায় দফায় সংঘর্ষে মহম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়। ইয়াছিন কুতুপালং ডি-৪, ২ ওয়েষ্ট ক্যাম্পের মহম্মদ নাসিমের ছেলে। এর ফলে গত পাঁচদিনে ওই ক্যাম্প মহিলা-সহ চার জন খুন হয়। এপ্রসঙ্গে হেড মাঝি মহম্মদ ওসমান বলেন, “রবিবার রাত থেকে আনাস ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২ নম্বর ওয়েস্ট ডি-ব্লকে প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গা ( rohingya) দুষ্কৃতী দা ও লাঠি নিয়ে ক্যাম্পের শতাধিক ঝুপড়ি ঘর ও ৫০টি দোকান ভাঙচুর করেছে। কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, আনাস গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের লড়াইয়ের জেরে প্রাণ বাঁচানোর জন্য কয়েক’শো রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে।

Advertisement

মায়ানমারে হওয়া সেনা অভিযানের জেরে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু, এখানেও তাদের দস্যুগিরির জেরে অতিষ্ট খোদ আশ্রয়দাতা বাংলাদেশিরাই। নারী পাচার, মাদক কারবার ও খুন-সহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে রোহিঙ্গারা। শান্তি বজায় রাখায় জন্য শরণার্থী শিবিরে পুলিশ ক্যাম্প পর্যন্ত বসানো হয়েছে। তাতেও তাদের বাগে আনা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্তব্যরত ১৪ নম্বর এপিবিএনের উপপরিদর্শক ইয়াসিন ফারুক জানান, নতুন এবং পুরনো রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরোধের জেরেই খুনের ঘটনাগুলি ঘটছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদের বলেন, ক্যাম্প থেকে আরও এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সে জানিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: লজ্জা! মাত্র এক মাসে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার ১২৯ শিশুকন্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ