Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৃত্যুদণ্ড

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় বৃদ্ধাকে খুন, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পুত্রবধূ-সহ ৪

যদিও সাজাপ্রাপ্তরা জামিন পাওয়ার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে।

four person with a woman get capital punishment for mother in law murder

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:November 26, 2019 4:53 pm
  • Updated:November 26, 2019 4:53 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: পুত্রবধূর পরকীয়া সম্পর্কে বাধা দিয়েছিলেন বৃদ্ধা শাশুড়ি। তাই নিয়ে শুরু হওয়া অশান্তির জেরে তাঁকে খুন করে ওই গৃহবধূ ও তার প্রেমিক। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। খুনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার ওই যুবতী-সহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হল ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ শারমিন আক্তার, তার প্রেমিক মহম্মদ জামাল, মহম্মদ নাজিম ও জসিমউদ্দিন। যদিও সাজাপ্রাপ্তরা সবাই পলাতক।

[আরও পড়ুন: ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে! ধৃত বাংলাদেশের ‘গুণধর’ যুবক]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা রুহুল আমিনের স্ত্রী ছিলেন মৃত জাকেরা বেগম। তাঁর ছোট ছেলে আবুল বাশারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সাজাপ্রাপ্ত শারমিন আক্তারের। আবুল কর্মসূত্রে ঢাকায় বসবাস করতেন। আর তেওয়ারিগঞ্জে শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করত শারমিন। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে লক্ষ্মীপুরের কালীবৃত্তি গ্রামের মহম্মদ জামাল হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। বেশ কয়েকবার শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও হয় তাদের মধ্যে। বিষয়টি জানতে পারার পরেই অশান্তি শুরু করেন জাকেরা বেগম। পুত্রবূধকে এই ধরনের সম্পর্কে জড়াতে নিষেধ করেন। কিন্তু, তাঁর কোনও কথাতেই গুরুত্ব দেয়নি শারমিন। উলটে জামালের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে বলেও অভিযোগ। আর এর জেরে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই রাতে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাজাপ্রাপ্তরা। তারপর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন:বিদেশ থেকে পিঁয়াজ উড়িয়ে এনেও অধরা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, দাম বাড়ছে অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর]

এই ঘটনার পরেরদিনই স্থানীয় থানায় ওই চারজনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন জাকেরা বেগমের দেওর খুরশিদ আলম। তার ভিত্তিতে ৫ মাস তদন্ত করার পর অভিযুক্তদের নামে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তাদের গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। পরে জামিনে জেলের বাইরে এসে পালিয়ে যায় তারা। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ