Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

লকডাউনের ‘আশীর্বাদ’, দূষণ কমায় বাংলাদেশের আকাশে উঁকি দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা

মোহময়ী কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে তেঁতুলিয়া ছুটে গিয়েছেন বহু মানুষ।

Kanchenjunga seen from Tetulia, Bangladesh as early this year due to better environment after lockdown| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 30, 2020 2:07 pm
  • Updated:October 30, 2020 2:09 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোভিড-১৯’এর (COVID-19) কারণে দীর্ঘ লকডাউন (Lockdown)। আর তার জেরে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নতি হওয়ায় এবার অক্টোবরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তর জনপদ জেলা পঞ্চগড়ে দৃশ্যমান কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া। তেঁতুলিয়া থেকে দেখা মিলেছে হিমালয় পর্বতমালার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার। খালি চোখে এভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ শোভা দেখে উচ্ছ্বসিত তেঁতুলিয়াবাসী।

সাধারণত প্রতি বছর নভেম্বরে তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjunga) শৃঙ্গ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এবার পরিবেশ অনুকূল থাকায় অক্টোবরের শেষেই দেখা গেল এই মনোরম দৃশ্য। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার-সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি চোখেই দেখা গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে তেঁতুলিয়ায় ভিড় করেন পর্যটকরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ নেপাল ও ভারতের সিকিম সীমান্তে অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন (স্থলবন্দর) থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভুটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চিনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে, হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। অর্থাৎ তেঁতুলিয়ার সবচেয়ে নিকটে কাঞ্চনজঙ্ঘাই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাটছে না করোনা আতঙ্ক, বাংলাদেশে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধই স্কুল-সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান]

বছরের এই সময়ে তেঁতুলিয়ায় মেঘ-কুয়াশামুক্ত আকাশের উত্তর-পশ্চিমে তাকালেই বরফাচ্ছাদিত কাঞ্চনজঙ্ঘা চোখে পড়ে। বরফের শিখরে রোদ ঠিকরে পড়ে এমন ঝলমল করতে থাকে যে তা এককথায় অপরূপ দৃশ্য। তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন কয়েকবন্ধু বন্ধু। তাঁরা জানান, ”কয়েকদিন ধরেই অপেক্ষা করছি তেঁতুলিয়ায় গিয়ে কাছ থেকে হিমালয় দেখব। কিন্তু আবহাওয়া ভালো না থাকায় ও বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির কারণে আসতে পারিনি। বৃষ্টি থামতেই বুধবার সন্ধ্যায় চলে এসেছি। বৃহস্পতিবার সকালে কাছ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন রূপ দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।” ঢাকা থেকে যাওয়া আরেক পর্যটক মাহমুদের বক্তব্য, সকালে ট্রেনে পঞ্চগড়ে যাওয়ার সময়ই উত্তরের আকাশে পর্বতশৃঙ্গ দেখা পাওয়া যাচ্ছিল। তাই দেরি না করে তারা তেঁতুলিয়া ছুটে গিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আত্মরক্ষায় শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠায় জোর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার]

তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু জানান, উপজেলার পিকনিক কর্নারে এসে অনেক পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করেন। তাই উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পিকনিক কর্নারকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। চলতি বছর সময়ের খানিক আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা দৃশ্যমান হওয়ায় আনন্দে বিহ্বল তেঁতুলিয়াবাসী এবং পর্যটক মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ