Advertisement
Advertisement

বাংলাদেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঢাকায় পুড়ে ছাই দুই শতাধিক ঘর

নষ্ট হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি।

Massive fire rages in Bangladsh. over 200 huts gutted
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 11, 2020 2:03 pm
  • Updated:March 11, 2020 2:03 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে দুই শতাধিক ঘর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। এই ঘটনায় নষ্ট হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি। 

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি পেল ‘জয় বাংলা’]

বুধবার রাজধানী ঢাকার মিরপুরের রূপনগর বস্তি থেকে আচমকাই ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। তারপরই আগুনের লেলিহান শিখা একের পর এক বাড়ি গ্রাস করে। ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে দু’শোরও বেশি ঘর। নষ্ট হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষে কর্তব্যরত এক আধিকারিক জানান, রূপনগরের রজনীগন্ধা অ্যাপার্টমেন্টের পেছনে ‘টি’ ব্লক বস্তিতে সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ আগুন লাগে। সেখানে বাঁশ ও টিনের তৈরি একটি ঘরে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকে অন্য ঘরগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কোনওক্রমে বাসিন্দারা দ্রুত দৌড়ে বেরোতে পারলেও কোনও জিনিসপত্র বের করতে পারেননি তাঁরা। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের ১৬টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

Advertisement

রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক কুমার দাস স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, আগুনে দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গিয়েছে। হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পুরোপুরি চেষ্টা করছে। এখানে মূলত রিকশাচালক, দিনমজুর, পোশাক কারখানার কর্মীদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষেরা থাকেন। আগুন লাগার সময় অনেকেই কর্মস্থলে ছিলেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে রাজধানী ঢাকার চকবাজারে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৭০ জন নিরীহ মানুষের। তারপরই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সেখানে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধরা পড়ে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা থাকা গলদ। অভিযোগ, একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও নির্বিকার প্রশাসন। প্রতিবারই তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে তাতে তেমন কোনও ফল মেলে না।  বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আজও অত্যন্ত শোচনীয়। ফলে ফের এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

[আরও পড়ুন: শিকড় মজবুত করছে আইএস অনুপ্রাণিত নব্য জেএমবি, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ