নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতি পদক্ষেপ বুঝিয়ে দিয়েছে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশ হল নতুন বাংলাদেশ। সেই মনোভাবকে বাস্তবের সিলমোহর দিতে বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছিল, ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠল ইউনুস সরকার।
গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এর ঠিক তিন দিন পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। রাষ্ট্রসংস্কারে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২৫ জুন ইউনুস প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই দিনটিতে (৮ আগস্ট) ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালিত হবে। এছাড়া গণআন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্র আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহিদ আবু সাঈদ দিবস’ এবং ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করা হয়। এই বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। প্রশ্ন হল, ঘোষণা দিয়েও ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন থেকে সরল কেন অন্তর্বর্তী সরকার?
নেপথ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির তিন প্রথম সারির নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ এবং আখতার হোসেন। তারা ৫ আগস্টে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, ৮ আগস্ট নয়, ৫ আগস্টই ‘নতুন বাংলাদেশে’র জন্ম হয়েছে। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর পাশাপাশি ওই দিনটিতেই ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন করা উচিত। এহেন বিতর্কের মধ্যে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামি লিগ সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনী ভেঙে পড়ে। কর্মস্থলে যোগদান করেও অনেক পুলিশ সদস্য উধাও হন। অনেকে ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত, অনেকে আবার ছুটি না নিয়েও উধাও। দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে যোগ না দেওয়া এমন ঊর্ধ্বতন ১৩ জন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। অন্যদিকে সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে, এই অভিযোগ এনে ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবার নিজেরাই ওই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে বলে জানিয়ে দিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.