Advertisement
Advertisement

সুর নরম ইসলামাবাদের, হাসিনা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে উদ্যোগী পাকিস্তান

মাশরাফিকে মন্ত্রী করার দাবিতে নড়াইলে মানববন্ধন।

Pakistan greets Sheikh Hasina Govt.
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 5, 2019 7:51 pm
  • Updated:January 5, 2019 7:51 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোন উপায় না পেয়ে নাকে খত দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার জন্য হাত বাড়াল পাকিস্তান। বরাবরই বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপির সঙ্গে চরম দোস্তি পাকিস্তানের। এখন সেই দোস্তিকে ঝেড়ে-মুছে চির বৈরি বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামি লিগের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়াল পাকিস্তান। তার আগে বাংলাদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামি লিগের বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল ইসলামাবাদে নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের নতুন নির্বাচিত সরকারকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা ও প্রত্যাশা করি, সাম্প্রতিক বছরগুলোর উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উত্তরণ ঘটবে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামি লিগের নেতৃত্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা করে বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত করে। পূর্ব পাকিস্তান নাম ঘুচে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের সঙ্গে সকল সম্পর্ক শুধু ছিন্নই নয়- বিশ্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে পাকিস্তান। ১৯৭৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুন হন। শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করেন বেগম খালেদা জিয়ার স্বামী জেনারেল জিয়াউর রহমান। জিয়া ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তকরণ-সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জামাতে ইসলামি বাংলাদেশের শীর্ষ কয়েকজন নেতার ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার জেরে দুই দেশের মধ্যে ফের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আলোকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক এগিয়ে যাক, সেটা আমরা চাই।’ শেখ হাসিনার জয়ে ভারত ও চিন অভিনন্দন জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছে।

Advertisement
[ফের মত বদল, হাসিনার মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন না এরশাদ]

এদিকে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর আজ, শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বিপিএল খেলতে নেমেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি বিন মোর্তজা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে হিরের টুকরো বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁকে এবার মন্ত্রী করার দাবি উঠেছে তার নিজ জেলা নড়াইলবাসীর পক্ষ থেকে। এ দাবি বাস্তবায়নে এদিন নড়াইল প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ এতে অংশ নেয়। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সভাপতি মহম্মদ আলমগির সিদ্দিকি, সাবেক সভাপতি এনামুল কবির টুকু, জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুণ্ডু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, নড়াইল পৌর আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল বিশ্বাস, নেত্রী আঞ্জুমান আরা, সালমা রহমান, সিটি কলেজের শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, সাংবাদিক শামিমুল ইসলাম প্রমুখ। নড়াইল প্রেসক্লাব সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছায় খেলার মাঠের মাশরাফি আজ নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। ২০ ডিসেম্বর নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে তাঁকে হিরের টুকরো উপাধি দেন। মাশরাফিকে আমরা মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছরেও নড়াইল থেকে কেউ মন্ত্রী হতে পারেননি। আমাদের আশা, প্রধানমন্ত্রী তাঁর হিরের টুকরোকে মন্ত্রী করবেন।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement