Advertisement
Advertisement
Bangladesh Violence

Bangladesh Violence: কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে কোরান রেখেছিল মুসলিম যুবকই, জানাল বাংলাদেশ পুলিশ

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মিলল তথ্য।

Police identified the man behind the comilla incident that sparked Bangladesh Violence | Sangbad Pratidin

সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তের ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:October 21, 2021 9:36 am
  • Updated:October 21, 2021 9:44 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগে উঠেছিল, বাংলাদেশের (Bangladesh) ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরানের অপমান করা হয়েছে। তার জেরেই অশান্তির সূত্রপাত। কিন্তু কে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে কোরান রেখেছিল, সেটাই ছিল লাখ টাকার প্রশ্ন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবার সেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে ফেলল বাংলাদেশ পুলিশ।

ফেসবুকে পোস্ট করে সেই অভিযুক্তের পরিচয় জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, “লোকটির নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লা শহরের সুজানগরে।” যদিও তার খোঁজ চলছে কিনা বা সে গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা, তা নিয়ে পুলিশের তরফে এখনও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এদিকে ইকবালের মা আমিনা বেগম জানিয়েছেন, তার ছেলে মাদকাসক্ত। তার মানসিক সমস্যাও রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবরও বলছে, ইকবাল ভবঘুরে। তবে তার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা অন্য কোনও গোষ্ঠীর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বাংলাদেশ, হিন্দু নির্যাতনে তোপ অ্যামনেস্টির]

Subramanian Swamy questions BJP's silence on attacks on Hindus

Advertisement

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। এই ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরই তৎপর হয় সে দেশের পুলিশ ও গোয়েন্দারা। কুমিল্লার নানুয়া দীঘিরপাড় মণ্ডপে কোরান রাখা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত হয় বলে মনে করছিল পুলিশ। তাই সেই মণ্ডপ সংলগ্ন সমস্ত সিসিটিভি ফুজেট খতিয়ে দেখতে শুরু করে তারা। তাতেই মেলে ‘ব্রেক থ্রু’।

 

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে, সপ্তমীর রাতে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘি এলাকার একটি মাজার থেকে কোরান হাতে এক ব্যক্তি বের হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁকে নানুয়াদিঘীর পাড়ে দেখা যায়। তখন আর তার হাতে বইটি দেখা যায়নি। বরং তার হাতে ছিল হনুমানজির গদা। ছবিগুলি বিশ্লেষণ করে ইকবালকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: Bangladesh Violence: ‘ধর্মনিরপেক্ষ বললেও সাম্প্রদায়িক হিংসা রুখতে কোনও ব্যবস্থাই নেননি হাসিনা’, তোপ তসলিমার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ