সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্ব মানচিত্রে ব্রাত্য তাঁরা। নারকীয় হিংসায় ভিটেমাটি হারিয়ে দিশাহীন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। সহানুভূতি দেখালেও বাংলাদেশ ছাড়া তাঁদের আশ্রয় দিতে এগিয়ে আসেনি কোনও দেশ। তবে মানবিকতার নজির গড়লেও শরণার্থীদের ভারে ক্রমশ নুয়ে পড়ছে উন্নয়নশীল এই দেশ।
[রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাতে গঠন ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’]
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ছয় লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ধ্বংসের মুখে পড়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বনসম্পদ। বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের গাছ কাটা হয়েছে। ফলে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে জীবজগতেরও। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি আলোচনায় এই তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য ৭ হাজার একর বনভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এজন্য বনবিভাগকে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কত গাছ লাগাতে হবে তা নিয়েও একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বনবিভাগকে।
চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ও বার্মিজ সেনার মধ্যে শুরু হয় রক্তাক্ত সংঘাত। সেনাঘাঁটিতে রোহিঙ্গাদের হামলার জবাবে ভয়াবহ পালটা অভিযানে নামে সরকারি বাহিনী। অভিযোগ, জঙ্গিদমন অভিযান গড়ায় গণহত্যায়। তারপরই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে কয়েক লক্ষ শরণার্থী। প্রথমদিকে ভিটেমাটি হারানো রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলেও পড়ে বাংলাদেশের অন্দরেই উঠে ক্ষোভের ঢেউ। হত্যা, ধর্ষণ ও মাদক পাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে শরণার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় শিবিরের প্রায় ৬০৭ জন শরণার্থীকে বিভিন্ন অপরাধে সাজা শুনিয়েছে আদালত।
[যৌন হেনস্তার প্রতিবাদ, প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্তন দিয়েই ব্যক্তিকে মার মহিলার]