Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাঙনের মুখে সুপারস্টার শাকিব-অপুর বিয়ে, ঠেকাতে কারা উদ্যোগী হল জানেন?

ছয়মাস আগে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে গিয়ে বিয়ের খবর ফাঁস করে দেন অপু বিশ্বাস।

Shakib Khan sends divorce letter to Apu Biswas
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 12, 2017 6:36 am
  • Updated:September 19, 2019 5:58 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: গত তিনমাস ধরে চলছে ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহুল আলোচিত-সমালোচিত তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সংসার ভাঙ্গা-গড়ার খেলা। মিডিয়ার চোখ এড়াতে দু’জনই পুতুল খেলার মতো সংসার পাতেন। শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের ডিভোর্স ঠেকাতে এবার উদ্যোগী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। শিগগিরই এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংসার রক্ষার জন্য বৈঠকে বসা হবে। রুপালি পর্দায় একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন তাঁরা। অপু হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে গোপনে বিয়ের পর্বও সারেন। তাঁদের সাত বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ছয়মাস আগে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে গিয়ে বিয়ের খবর ফাঁস করে দেন অপু বিশ্বাস। এতে চটে লাল শাকিব। কিন্তু মিডিযার ভয়ে সুর সুর করে অপুর ঘরে গিয়ে ওঠেন শাকিব। একসঙ্গে ছবির পোজও দেন। এদিকে ছবির কাজে ভারতে অবস্থানের মধ্যেই শাকিবের আসল চেহারা বেড়িয়ে পড়ে। আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেন শাকিব। ডিভোর্স লেটার পাঠানো নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিয়ের কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে এ বিতর্ক। শাকিব খান বলছেন, বিয়ের কাবিননামার দেনমোহর ধরা হয়েছে সাত লক্ষ এক টাকা। অন্যদিকে অপু দাবি করছেন, কাবিননামায় দেনমোহর ধরা হয়েছিল এক কোটি সাত লক্ষ এক টাকা। যদিও তাঁর কাছে কোনও কাবিননামা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘আমাকে ডিভোর্স দিলে এ অঙ্কের টাকাই দিতে হবে’, বলেন অপু। শাকিব জানান, ‘বিয়ের দেনমোহর ছিল ৭ লক্ষ ১ টাকা। এটাকে উলটো করে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা বানাতে চাইছে অপু। সাধারণত দেনমোহর রাউন্ড ফিগারের হয়। যদি সেটা এক কোটি টাকাও হয় তাহলে ভাঙা টাকা হিসেবে ৭ লক্ষ টাকা কেমন করে হবে? এ ধরনের কোনও জালিয়াতি যদি করা হয় তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা দেখার সব আমার আইনজীবী দেখবেন।’

[অভিনেত্রী জায়রাকে হেনস্তার অভিযোগে অবশেষে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]

এদিকে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের ডিভোর্স ঠেকাতে উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। শিগগিরই এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংসার রক্ষার জন্য বৈঠকে বসা হবে বলে জানানো হয়েছে। বৈঠকে নগর কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। শাকিব খান জানিয়েছেন, ডিভোর্স নোটিসের একটি কপি ডিএনসিসি বরাবর পাঠানো হয়েছে। এই নোটিস প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়রের সহকারী সৈয়দ আবু সালেহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্বামী কিংবা স্ত্রী, যে পক্ষই নগরভবনে তালাকনামার নোটিস পাঠাক, তার সঙ্গে কাবিননামার কপিও সংযুক্তি পাঠাতে হয়। কিন্তু শাকিব খানের তালাকনামার নোটিসের সঙ্গে কাবিননামার কপি পাঠানো হয়নি। এখন তার কাছ থেকে কাবিননামার কপিও চাওয়া হবে। এরপর নগর কর্তৃপক্ষই উভয়পক্ষকে ডেকে সংসার রক্ষার জন্য সালিশ বসাবে। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতি পেলে সংসার টেকানোও সম্ভব। তবে কোনওভাবেই তিন মাসের আগে তাদের তালাক কার্যকর হচ্ছে না। শাকিব-অপুর ঘরে একটি ফুটফুটে সন্তান রয়েছে। তাছাড়া মানবিক কারণে দেশের প্রখ্যাত এ দুই তারকার সংসার রক্ষার চেষ্টা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। মুসলিম নিকাহ আইনের ৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, নোটিস পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ বসানো হবে।

Advertisement

[কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল আমাজন অভিযান-এর শুটিং? জানালেন দেব]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ