Advertisement
Advertisement

বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন হাসিনা, বলছে সমীক্ষা

৫০টি আসনও পাচ্ছে না বিএনপি পরিচালিত ঐক্যফ্রন্ট।

Sheikh Hasina will back on Power!
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 27, 2018 11:40 am
  • Updated:December 27, 2018 12:29 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে শাসকদল তথা শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। বলছে সমীক্ষা। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) বলছে, ভোটের মাসের শুরুতে ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে সোয়া দুই হাজার ভোটারের উপর সমীক্ষা চালিয়ে তারা এমন পূর্বাভাস পেয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসনে জয় পেতে পারে। বাকি তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয় দেখছে আরডিসি। আরডিসির হয়ে এই সমীক্ষায় যুক্ত মার্কিন পরামর্শক ফরেস্ট ই কুকসান বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই রিপোর্ট তুলে ধরেন। কুকসান ডেভলপমেন্ট ইন ডেমোক্রেসি নামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থার অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশে বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা সংস্থার পাশাপাশি পরিসংখ্যাণ ব্যুরোর (বিবিএস) বিভিন্ন সমীক্ষাতেও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন বলে অনুষ্ঠানে জানান তিনি। এর আগে গত আগস্ট মাসে করা আরডিসির আরেকটি সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এক ফেসবুক পোস্টে বলেছিলেন, নির্বাচনে তাদের দল আওয়ামি লিগ সর্বোচ্চ ২২০ আসনে জয় পেতে পারে বলে তারা আভাস পেয়েছেন।

[বাংলাদেশের সেনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে আইএসআই, অভিযোগ লিগের  ]

Advertisement

প্রসঙ্গত, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনে ২০১৪ বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে সবমিলিয়ে ২৩২টি আসনে জয় পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামি লিগ। জাতীয় পার্টি ৩৩টি, ওয়াকার্স পার্টি ছয়টি, জাসদ পাঁচটি, জেপি একটি, তরিকত ফেডারেশন একটি, বিএনএফ একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৩টি আসনে জয় পান। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামি লিগ দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল৷ দুই বছর জরুরি অবস্থার পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ওই নির্বাচনে আওয়ামি লিগ ২৩০, বিএনপি ২৯, জাতীয় পার্টি ২৭, জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, জামাতে ইসলামি দুটি, এলডিপি একটি, বিজেপি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চারটি আসনে জয়ী হন। আরডিসি বলছে, এবারের নির্বাচন সামনে রেখে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গ্রাম ও শহরের ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটারের উপর ওপিনিয়ন পোল চালিয়েছে তারা। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা মহাজোট, ২২ শতাংশ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ৪ শতাংশ জাতীয় পার্টিকে সমর্থন জানিয়েছেন। আর ১০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন। ৩ শতাংশ ভোটার উত্তর দিতে নারাজ। আর এক শতাংশের কম ভোটার বলেছেন, তাঁদের ভোট দেওয়ারই আগ্রহ নেই।

Advertisement

[ভেস্তে গেল কমিশন-ঐক্যফ্রন্ট বৈঠক, বাংলাদেশে নির্বাচন বয়কটের ইঙ্গিত বিএনপির]

ফরেস্ট কুকসান বলেন, একটি মডেল ব্যবহার করে ভোটারদের মতামতের সঙ্গে আগের নির্বাচনের ভোটের রেকর্ড বিশ্লেষণের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বাভাস তৈরি করেছেন তাঁরা। আরডিসির প্রতিবেদন বলছে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকরী পুরুষের মধ্যে ৫৮.৬ শতাংশ মহাজোটের পক্ষে, ২২.৬ শতাংশ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে এবং ৪.২ শতাংশ জাতীয় পার্টির পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা বলেছেন। আর মহিলা ভোটারদের মধ্যে ৬২.২ শতাংশ মহাজোটের পক্ষে, ২২ শতাংশ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে এবং ৩.১ শতাংশ জাতীয় পার্টির পক্ষে কথা বলেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ