Advertisement
Advertisement

ভারত সফর নিয়ে তরজা উড়িয়ে শুক্রবার দিল্লি পৌঁছচ্ছেন হাসিনা

প্রায় সাত বছর পর সরকারি সফরে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা।

Strengthening Bilateral ties, Bangladesh PM Sheikh Hasina to Visit India on Friday

ফাইল চিত্র

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 6, 2017 12:28 pm
  • Updated:December 17, 2019 12:15 pm

সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার শেখ হাসিনার ভারত সফর ঘিরে তরজা থামছেই না বাংলাদেশের শাসক ও বিরোধীদলের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের দল আওয়ামি লিগ এবং প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। প্রতিদিনই চলছে বিবৃতি আর পাল্টা বিবৃতি। দুপক্ষের এ চরম তরজার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী চারদিনের সরকারি সফরে শুক্রবার ভারতীয় সময় সকাল ১০টায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন। নয়াদিল্লি পৌঁছনোর সম্ভাব্য সময় দুপুর ১২টা। এখানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজনৈতিক দলগুলির প্রধান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন হাসিনা।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘আর্দশ পাকিস্তান’ উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা ক্ষমতায় থেকে একটা চুক্তিও ভারতের সঙ্গে করতে পারেনি তাদের মুখে ভারত সফর নিয়ে সমালোচনা মানায় না। বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে: রাজনীতিতে একবার রাজাকার-একবার মুক্তিযুদ্ধের সরকার-এই মিউজিক্যাল চেয়ারের খেলা বন্ধ করো’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অপরদিকে, তিস্তা চুক্তি না হলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক বিএনপি ও তার নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বৃহস্পতিবার ইনু বলেন, খালেদা জিয়া ও বিএনপি হচ্ছে জঙ্গিবাদের দোসর, পৃষ্টপোষক ও মদদদাতা। ইতিহাস বিকৃতকারী দল। জঙ্গিদের স্নেহময়ী মাতা। তিনি বলেন, আমাদের জন্য প্রতিরক্ষা চুক্তি কেন আবশ্যক তা বুঝতে পারছি না। জনবিরোধী চুক্তি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না জানিয়ে এই চুক্তি থেকে ভারতকেও সরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে ভারতের কাছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ইজারা দেওয়া হচ্ছে। আর এ চুক্তি করলে ভারত শেখ হাসিনাকে ইনক্রিমেন্ট হিসেবে পরবর্তীতে ভোট না করেই ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লির বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরকালীন সময় সেখানেই থাকবেন তিন। সফরসূচিতে থাকা নির্ধারিত কর্মসূচিগুলির বাইরেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সাক্ষা‍তে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন। শেখ হাসিনার সম্মানে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিনে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের দক্ষিণ ড্রইংরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে অভ্যর্থনা ও নৈশভোজে অংশ নেবেন হাসিনা। সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে সংবর্ধনা দেওয়া হবে শেখ হাসিনাকে। এরপর মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধ রাজঘাটের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বেলা সাড়ে ১১টায় হায়দরাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করবেন। বেলা ১২টায় হায়দরাবাদ হাউজের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক। সাড়ে ১২টা নাগাদ হবে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই। সেখানে হিন্দি ভাষায় অনুদিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর মোড়ক উন্মোচন করা হবে। পৌনে একটার দিকে একই স্থানে যৌথ বিবৃতি দেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। হায়দরাবাদ হাউজের ব্যাঙ্কোয়েট হলে মোদির আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। বিকেল সাড়ে ৫টায় দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে মানেকশো সেন্টারে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শহিদদের সম্মাননা দেবেন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় মৌলানা আজাদ অ্যাভিনিউয়ে ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি মহম্মদ হামিদ আনসারির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। প্রায় সাত বছর পর সরকারি সফরে ভারতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গুরুত্বপূর্ণ এ সফর শুরুর আগে থেকেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-সহ সরকারের উচ্চপদস্থরা দিল্লিতে রয়েছেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ