দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সারা রাজ্যে হুগলির ১৩ জন কৃতী ছাত্রছাত্রী স্থান করে নিয়েছে। উত্তরপাড়া মডেল স্কুলের সৌরদীপ নাথ ও সিঙ্গুর মহামায়া হাই স্কুলের দিব্যদূত শাসমল ৪৮৭ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় চতুর্থ। বিজ্ঞানের ছাত্র দিব্যদূত ডাক্তারি পড়বে বলে স্থির করেছে। পাণ্ডুয়া শশীভূষণ সাহা হাই স্কুলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলে মহম্মদ সরিফুল ইসলাম ৪৮৬ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করে এখন স্কুলের গর্ব।
[ঘূর্ণাবর্তের জেরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে, কমতে পারে তাপমাত্রা]
উত্তরপাড়া গার্লস হাই স্কুলের মধুরিমা মুখোপাধ্যায় ও চুঁচুড়ার বিনোদিনী গার্লস হাই স্কুলের দেবদত্তা পাল ও আরামবাগের কুন্তল বিট তিনজনে ৪৮৫ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ। দেবদত্তা মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম ও সারা রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল ২০১৬ সালে। এ বছরও সাফল্যের ধারা অব্যাহত। দাদার মতো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেবদত্তার। অন্যদিকে, কলা বিভাগের মধুরিমা মুখোপাধ্যায় আর দশজনের মতো কেরিয়ারিস্ট এখন থেকেই হতে চায় না। সে ইংরেজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। লখনউয়ের নামকরা কলেজে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে সে। কুন্তল বিটের বাবা পেশায় চাষি। বাবার স্বপ্ন পড়াশোনা শিখে ছেলে অনেক বড় হবে। মাধ্যমিকে ১ নম্বর কমের জন্য মেধাতালিকায় দশের মধ্যে স্থান হয়নি। তাই এবার প্রথম থেকেই সে অনেক কষ্ট করে বাবার স্বপ্ন অনেকটাই সফল করতে পেরেছে। কুন্তলের প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা হলেও গ্রামের মানুষের সেবার জন্য সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়।
[তৃণমূল নেত্রীর উত্তরসূরি অভিষেক? কটাক্ষ বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের]
সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গার্গী চট্টোপাধ্যায় সপ্তম হয়েছে। ধনেখালি ইছাপুর হাই স্কুলের রাজশেখর চট্টোপাধ্যায় মেধাতালিকায় অষ্টম স্থানে। রাজশেখরের ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা থাকলেও সে আপাতত প্রাণীবিদ্যা অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। হরিপালের দ্বারহাট্টা রাজেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের সঞ্চয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের বিকাশরাজ পাল, দু’জনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২, মেধাতালিকায় নবম। সঞ্চয়ন আর দশজনের মতো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় না। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও সে পদার্থবিদ্যায় এমএসসি করে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চায়। নবম স্থানাধিকারী বিকাশরাজের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার। শৌভিক চন্দ্রও নবম হয়েছে। আরামবাগের শৌভিকের স্বপ্ন ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার। জাঙ্গিপানা বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রাবণী দত্ত, পোড়াবাজার আর ডি এম ইউ বিদ্যালয়ের অর্ণব মল্লিক ও আরামবাগ হাই স্কুলের দু’জনেই দশম স্থান অধিকার করেছে, কলা বিভাগের ছাত্রী শ্রাবণী ছোট থেকেই শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখত। তাই ভবিষ্যতে ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষিকা হতে চায়। কমপিউটার সায়েন্স নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় অর্ণব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.