প্রতীকী ছবি
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনে অন্যতম অভিযুক্ত জিয়াউল শেখের দুই ছেলেকে আটক করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া থেকে আটক করা হয়েছে আরও ১৩ জনকে। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনার পরই ভিনরাজ্যে গা-ঢাকা দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে গোলমাল বাঁধে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। জাফরাবাদে বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জিয়াউল শেখকে গত শনিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেঙ্গল এসটিএফ এবং স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। জাফরাবাদের পাশের সুলিতলা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা জিয়াউল। পিতা-পুত্রকে খুনে অন্যতম অভিযুক্ত।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফের পাঁচ সদস্যের টিম ঝাড়সুগুড়া জেলায় আসে। বন্ধাবাহাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জিয়াউল শেখের দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। মুর্শিদাবাদ হিংসায় জড়িত সন্দেহে ওড়িশা থেকে আরও ১৩ জনকে আটক করা হয়।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। অশান্তির মাঝেই জাফরাবাদে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। প্রথমে সুতি ও বীরভূমের মুরারই থেকে কালু নাদাব ও দিলদার নাদাবকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সুতি থেকেই ইনজামুল নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর মূল অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.