মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের পেঁড়ো থানার বসন্তপুরে প্রকাশ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। সিভিক ভলান্টিয়ারের কোমর, পায়ে দড়ি বাঁধা! তাঁকে কান ধরে বেঁধে ওঠবোস করানোর অভিযোগ। শুধু তাই নয়, চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগও উঠেছে। সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে কেন এই বিষয়ে তথ্য ছিল না? কেনই বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? সেই বিষয়ে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পেঁড়ো থানার ওসি তন্ময় কর্মকারকে ক্লোজ করা হল। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও খবর।
সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিগ্রহের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন। জানা গিয়েছে, ওই ঘটনাটি তিনদিন আগের। আজ, শনিবার সকালে হাওড়া গ্রামীণ এলাকার পুলিশ সুপার সুবিমল পালের নির্দেশে ওসি তন্ময় কর্মকারকে ক্লোজ করা হল বলে খবর। আপাতত ওই থানার দায়িত্ব সামলাবেন আমতা থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর। সিভিক ভলান্টিয়ার শ্রীধর চক্রবর্তীকে হেনস্তার অভিযোগে পুলিশ রাজু গায়েন এবং লাল্টু মল্লিক নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে। ধৃতদের শনিবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়।
অভিযোগ, শ্রীধর চক্রবর্তী মদ্যপ অবস্থায় রাজ্যের শাসক দল সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। প্রকাশ্যে গালিগালাজও করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাইকেল চুরি-সহ গালিগালাজ করার মতো একাধিক অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ জন্মেছিল। সেই ভিত্তিতেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার নিন্দা করে উদয়নারায়ণপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্যাণ গায়েন বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেনস্তা করা ঠিক হয়নি। আইনের পথে চলবে।” পুলিশ আগে ব্যবস্থা নিলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না বলেও তিনি মনে করেন। শ্রীধর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ সামগ্রিক বিষয় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। কোনওরকম অশান্তিকর পরিস্থিতির বরদাস্ত করা হবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.