Advertisement
Advertisement

মৃত্যুর পর মুক্তিপণ চেয়ে ফোন, বীরভূমে ইঞ্জিনিয়ার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

ধৃতেরা মৃতের বন্ধু, দাবি পুলিশের৷

3 accused in Birbhum engineer murder held
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 29, 2018 5:16 pm
  • Updated:June 29, 2018 5:16 pm

নন্দন দত্ত, বীরভূম: মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ করেছিল বন্ধুরাই?  তাহলে মৃত্যুর পর কেন মুক্তিপণ চেয়ে ফোন?  খুন না অতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যু?  প্রশ্ন অনেক৷ উত্তর খুঁজছে পুলিশ৷ বীরভূমের ইঞ্জিনিয়ার খুনের ঘটনায় শুক্রবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিউড়ি থানার পুলিশ৷ ধৃতের একজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা৷ বাকি দু’জনের বাড়ির সিউড়িতেই৷ পুলিশের দাবি, ধৃতেরা ওই ইঞ্জিনিয়ারের বন্ধু৷ জেরায় তারা জানিয়েছে, ঘটনার দিন ওই ইঞ্জিনিয়ারের পথ আটকেছিল তারা৷ মাঠে বসে একসঙ্গে মদ্যপানও করে৷ অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই মারা যান ওই ইঞ্জিনিয়ার৷ এরপর মৃতের বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়৷ ছেলের জন্য মুক্তিপণ চেয়ে ফোনের কথা পুলিশকে জানিয়েছেন মৃত ইঞ্জিনিয়ারের বাবাও৷

[খোঁজ মিলল টিটাগড় থেকে নিখোঁজ মা-মেয়ের, গ্রেপ্তার গৃহবধূর প্রেমিক]

Advertisement

মৃত ওই ইঞ্জিনিয়ারের নাম শশীকান্ত দাস৷ সিউড়ি শহরের লম্বোদরপুরের বাড়িতে একাই থাকতেন৷ বাবা-মা থাকেন গ্রামের বাড়িতে৷ বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের রানিশ্বর ব্লকে চাকরি করতেন শশীকান্ত৷ পরিবারের লোকেদের দাবি, বিয়ের পর সিউড়ির বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন শশীকান্ত৷ কিন্তু, বছরখানেক আগে স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান৷ তারপর থেকে একাই থাকতেন বছর সাতাশের  যুবক৷ মাস তিনেক আগে বাড়ির সামনে থেকেই শশীকান্তকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ পরিবারের লোকেদের দাবি, মুক্তিপণ চেয়ে ফোনও করেছিল দুষ্কৃতীরা৷ কিন্তু, পুলিশ মুক্তিপণ দিতে বারণ করে৷ বৃহস্পতিবার বীরভূম-ঝাড়খন্ড সীমান্তের একটি পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে শশীকান্ত দাসের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷

Advertisement

শুক্রবার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঝাড়খণ্ড থেকে  মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সিউড়ি থানার পুলিশ৷ তাকে জেরা করে সিউড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও দু’জনকে৷ পুলিশের বক্তব্য, ধৃতের শশীকান্তের  বন্ধু৷ তাঁর বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করার কথা স্বীকারও করেছে তারা৷ তাহলে কি শশীকান্ত দাসকে অপহরণ করেছিলেন তাঁর বন্ধুরাই? মুক্তিপণ না পেয়েই খুন? দুয়ে দুয়ে কিন্তু চার হচ্ছে না৷ সিউড়ি থানার পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, ঘটনার দিন যখন বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শশীকান্ত, তখন পথ আটকান তাঁরা৷ তারপর একটি মাঠে বসে ওই ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মদ্যপানও করে অভিযুক্তেরা৷ অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে সেখানে মারা যান শশীকান্ত৷ দেহটি পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলে ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়৷ অর্থাৎ শশীকান্তের বাবার কাছে যখন মুক্তিপণ চাওয়া হয়, তখন তাঁর ছেলে বেঁচে ছিলেন না৷ অপহৃতের মৃত্যুর পর কেন মুক্তিপণ চাওয়া হল?  রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে৷

ছবি: বাসুদেব ঘোষ

[লোকাল ট্রেনের ছাদে উঠে ঘোরাঘুরি যুবকের, চাঞ্চল্য ছড়াল চুঁচুড়া স্টেশনে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ