Advertisement
Advertisement

Breaking News

উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ ‘পাচার’ চিনে! শিলিগুড়িতে ধৃত ৩ পাচারকারী

উদ্ধার ৮ ফুট লম্বা চিতাবাঘের চামড়া!

3 pouchar caught with the skin of Lepard at Siliguri
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 18, 2017 7:03 am
  • Updated:September 18, 2019 5:35 pm

ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি:  আশঙ্কাটা ছিলই। এবার উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারে চিনা-যোগের হাতেগরম প্রমাণ পেল বনদপ্তর। শিলিগুড়ি ভক্তিনগরে ধরা পড়ল তিনজন পাচারকারী। তাঁদের মধ্যে দু’জন আবার নেপালের বাসিন্দা। উদ্ধার প্রায় আট ফুট লম্বা চিতা বাঘের চামড়া! প্রাথমিক তদন্তে বন দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নেপাল থেকে শিলিগুড়ি ও ভুটান হয়ে বাঘের চামড়া চিনে পাচার করার ছক কষেছিল চোরাকারবারীরা। বাংলাদেশ ও চিনে বসে এই আন্তর্জাতিক পাচার চক্রটি পরিচালনা করে সোনম ভুটিয়া ও পবন খাটকি নামে দুই ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

[পাচারের ছক বদল, অনলাইনে বিক্রি হাতির দাঁত-সাপের বিষ]

Advertisement

পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা উত্তরবঙ্গ। খুব কাছেই নেপাল ও ভূটান সীমান্ত। আর সেই সীমান্ত দিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ পাচার হচ্ছে চিনে! গড়ে উঠেছে চোরকারবারীদের আন্তর্জাতিক চক্র! শিলিগুড়ি থেকে ধৃত দুই পাচারকারীকে জেরায় মিলল বিস্ফোরক তথ্য। উদ্ধার প্রায় আট ফুট লম্বা চিতাবাঘের চামড়া। বন দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, কয়েক মাসে আগেই ওই চিতাবাঘটি গুলি করে মারে পাচারকারীরা। চিতাবাঘের চামড়াটি নেপাল থেকে শিলিগুড়ি ও ভুটান হয়ে চিনে পাচার করা ছক করা হয়েছিল। শিলিগুড়িতে বসেই আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। দাম ধার্য হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকা।

Advertisement

chita2_web

কিন্তু কীভাবে চিতাবাঘের চামড়া-সহ ধরা পড়ল তিনজন পাচারকারী? বন দপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি শহরে অভিযান চালায় বনদপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কিন্তু, আগেভাগেই অভিযানের কথা জানতে পেরে যায় পাচারকারীরা। এরপরই গাড়ি ছেড়ে ট্রাভেল ব্যাগে চিতাবাঘের চামড়াটি পুড়ে পা হেঁটেই শিলিগুড়ি শহর থেকে পালানোর চেষ্টা করে তারা। সাধারণ পোশাকে বাইকে তাদের ধাওয়া করেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। রাতে শহরের উপকণ্ঠে ভক্তিনগরের চেকপোস্টে ধরা পড়ে যায় তিনজন পাচারকারী। উদ্ধার হয় প্রায় আট ফুট লম্বা চিতা বাঘের চামড়া। রুদ্রপ্রসাদ, ধনকুমার রাই নামে দুজন নেপালের বাসিন্দা। আর ওমর রাইয়ের বাড়ি ভুটান সীমান্ত লাগোয়া জয়গাঁও-এ।

 [শীতের রাতে হাঁড়িয়ার টানে হাজির ‘জগাই-মাধাই’, নাজেহাল গ্রামবাসী]

ধৃতদের জেরা করে সোনম ভুটিয়া ও পবন ঘাটকি নামে আরও দু’জনের নাম জানতে পেরেছেন বন দপ্তরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ চিনে পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রটি পরিচালনা করে পবন ও সোনম। দু’জনই নেপালের বিরাটনগরের বাসিন্দা। তবে পবনের শ্বশুরবাড়ি শিলিগুড়ি গুরুং বস্তিতে। চিনে কোটি কোটি টাকায় বণ্যপ্রাণীদের দেহাংশ পাচার করে তারা। দুজনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বন দপ্তর। বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পবন খাটকির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বণ্যপ্রাণ-সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ মামলা চলছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণীদের দেহাংশ পাচারে চিনা-যোগের কথা জানিয়ে  কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে রাজ্য।

[চেনা মাইথনে এবার অনেক পরিবর্তন, বদল সবুজ দ্বীপেও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ