প্রতীকী ছবি
কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: বাংলার কোথায় কোথায় শিকড় ছড়িয়েছে বাংলাদেশি জেহাদিরা? কোথায় কোথায় তৈরি হয়েছে স্লিপার সেল? সেই গোপন খবর পেতে এবার আরও তৎপর বেঙ্গল এসটিএফ। আর তাই অসম এটিএসের হাতে মুর্শিদাবাদ এবং অসমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধৃত আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্যদের নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার চার জেহাদিকে বহরমপুর আদালতে তুলে সেই আবেদন জানায় তারা। ১৪ দিন হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। এর আগে বাংলা থেকে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারীদের।
অসম এটিএসের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে হরিহরপাড়ার মণিরুল শেখ, আব্বাস আলি। অসম থেকে নূর ইসলাম এবং সাব শেখ ওরফে সাদ রাবিকে গ্রেপ্তার করেছিল তারা। এবার তাদের নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।
ইতিপূর্বে ২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত জঙ্গি তারিকুল ইসলামকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে সাতদিনের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বেঙ্গল এসটিএফ। নওদা থেকে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি সাজিবুল ইসলাম এবং মুস্তাকিম মণ্ডলকে আগেই গ্রেপ্তার করে বেঙ্গল এসটিএফ। ওই দুই জেহাদির সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে তারিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার পালা আনসার জঙ্গিদের। এদের সকলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
সূত্রের দাবি, মুম্বই হামলার ধাঁচে এবার একে ৪৭ নিয়ে আক্রমণের ছক আল কায়েদার ছায়া সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের। সেই কারণেই প্রায় ২৫টি একে ৪৭-এর মতো মারাত্মক অস্ত্র জোগাড় করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবিটি জঙ্গি সংগঠনের বাংলাদেশি নেতা শাদ রাদি। এবার তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে এসটিএফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.