আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে সাময়িক বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: গরুচোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চার গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করে। এদিন তাঁদের আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, ওই চারজনের গ্রেপ্তারিতে ক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ বাসিন্দারা। মেমারি থানার সামনে ভিড় করেছিলেন বাসিন্দারা। ধৃতদের আদালতে নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। যদিও পুলিশ কোনও কিছুকেই তোয়াক্কা করেনি। পুলিশ একরোখা থাকায় শেষপর্যন্ত পিছু হটেন গ্রামবাসীরা। গতকাল ভোররাতে কয়েকজন ভিন রাজ্যের বাসিন্দা মেমারির আমদপুর অঞ্চলের মেরুয়া গ্রামে ঢুকেছিলেন। এলাকার একটি বাড়ির ভিতর ঢুকে তাঁরা গরু চুরির চেষ্টা করছিলেন। কয়েকজন স্থানীয় তাঁদের দেখে তাড়া করেন।
অন্যরা পালিয়ে গেলেও এক প্রৌঢ় ধরা পড়ে যান। গ্রামবাসীরা তাঁকে ‘গণপিটুনি’ দেন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তাঁর পরিচয় জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে ওই ‘গণপিটুনি’র ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রামে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। মুজিবর শেখ, শেখ সুন্দর আলি, ভোলা চৌধুরী, জয়ন্ত মালিক নামে চার গ্রামবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মেমারি থানা থেকে এদিনই তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেসময় পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একটা অংশ। তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিও তোলা হয়। কিন্তু পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় আর কারা জড়িত আছেন, সেই বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.