বর্ধমানে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাস। নিজস্ব চিত্র
অর্ক দে, বর্ধমান: প্রবল গতিতে যাওয়াই কাল হল। যাত্রীবোঝাই বাস উলটে গেল রাস্তার পাশের খেতে। মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার ভাণ্ডারদিহি এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বর্ধমান থেকে কুসুমগ্রামের দিকে যাচ্ছিল ওই যাত্রীবাহী বাস।
সকালের সময় হওয়ায় বাসে যাত্রীদের যথেষ্ট ভিড় ছিল। দেওয়ালদিঘির পেট্রোল পাম্পের কাছে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। মুহূর্তে সেটি রাস্তার পাশের খেতে পালটি খেয়ে পড়ে। বাসের মধ্যেই আটকে পড়েন যাত্রীরা। প্রবল শব্দ শুনে ছুটে যান স্থানীয়রা। তারাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। বাসের ভিতর থেকে একে একে বার করে আনা হয় জখম যাত্রীদের।
ওই বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে খবর। প্রত্যেকেই কমবেশি জখম হয়েছেন ওই দুর্ঘটনায়। তাঁদের মধ্যে ১২ যাত্রীর চোট বেশি থাকায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেশ কয়েক জনের শারীরিক আঘাত যথেষ্ট গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের সেখানে রেখেই চিকিৎসা চলছে। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় ও জখম বাসযাত্রীদের অনেকের দাবি, বাসটি যথেষ্ঠ বেশি গতিতে চালানো হচ্ছিল। সে কারণেই পরে চালক আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। সকালে ওই দুর্ঘটনায় রাস্তা কিছু সময়ের জন্য যানজট দেখা দেয়। পরে পুলিশ যানজটমুক্ত করে।
এদিন সকালে কলকাতাতেও বেপরোয়া বাস পিষে দিয়েছে এক মহিলাকে। সকাল ৭টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ চার বছরের মেয়ে অঙ্কিতা ও স্ত্রী দেবশ্রীকে নিয়ে ঢাকুরিয়া যাচ্ছিলেন বাঘাযতীনের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল। মেয়েকে ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই দুর্ঘটনাতেই মারা যান অঙ্কিতা মণ্ডল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.