নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাকপুর: পর্দাফাঁস হল আন্তঃরাজ্য কিডনি পাচারচক্রের। যে ঘটনায় নৈহাটি থেকে গ্রেপ্তার করা হল এক মহিলা-সহ সাতজনকে।
নৈহাটির মিত্রবাগান এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত অভিযুক্তরা। ভিনরাজ্য থেকে টাকার লোভ দেখিয়ে এখানে এনে তাঁদের শরীর থেকে কিডনি কেটে নেওয়া হত। তারপর তা বিক্রি করা হত শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে। বাড়ির ভেতরেই চলত অপারেশন। রবিবার রাতে মিত্রবাগানের বাড়িতে হানা দিয়ে এই মহম্মদ ইকবাল, ভারতী ছেত্রী, সারফারোশ আহমেদ, বিশ্বজিৎ পাল-সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে বিশ্বজিৎ বাড়ির মালিক। ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত পলাতক।
রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মিত্রবাগানের ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। খবর ছিল ভারতী ছেত্রী কিডনি বিক্রি করতে সেখানে এসেছে। তার বাড়ি অসমের ডিব্রুগড়ে। দিন চারেক আগে এসে বাইপাসের এক হাসপাতালে যায় সে। সেখানে কথাবার্তা চালানোর পর আসে নৈহাটির এই বাড়িতে। সেখান থেকেই হয় টাকা-পয়সার লেনদেন। বাড়িতে ঢুকে পুলিশ একাধিক ভুয়া কাগজপত্র পায়। জানা যায়, এই কিডনি পাচারচক্রের মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আখতার কলকাতায় বসে লিংক করত বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে। তাকে এখনও খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, নৈহাটি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনই এসেছিল কিডনি দিতে। সারফারোশ স্থানীয় পুরসভার কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই এই কিডনি পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত সে। তবে ঘটনায় আরও বড় কোনও মাথা আছে বলে মনে করছে পুলিশ। বেসরকারি হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গেও এই কিডনি পাচারচক্রীদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। সোমবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলার কথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.