শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: প্রায় দেড় মাস পর স্কুল খুলেছে। ইসলামপুর কাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিনও পেয়ে গেলেন আটজন গ্রামবাসী। ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বণ্ডে ধৃতদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল ইসলামপুর মহকুমা আদালত। শুধু তাই নয়, সপ্তাহে একদিন ইসলামপুর থানায় হাজিরা ও জমির দলিলের খতিয়ান আদালতে দিতে হবে জামিন প্রাপকদের। আপাতত আর স্কুল বন্ধ হওয়ার আর কোনও আশঙ্কা নেই। কারণ, ধৃত আট গ্রামবাসীকে জামিন না দিলে, বুধবার থেকে ফের দাড়িভিট হাই স্কুলের গেট বন্ধ করে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছিলেন নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
[ ইসলামপুর কাণ্ডে মানবাধিকার কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]
গত ২০ সেপ্টেম্বর উর্দু শিক্ষক নিয়োগ করে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দু’জন ছাত্র। ঘটনার সিবিআই তদন্তে দাবিতে স্কুলে ধরনায় বসেছিলেন নিহতদের পরিবারের লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় দেড় মাস পঠনপাঠন বন্ধ ছিল দাড়িভিট হাই স্কুলে। এদিকে আবার ঘটনার পরেরদিন আটজন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছিল ইসলামপুর থানার পুলিশ। তাঁদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিও তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা। দীর্ঘ টালাবাহানার পর শনিবার মহকুমা শাসকের হাতে স্কুলের চাবি তুলে দেন নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমল সরকার। সোমবার ফের স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু হয়েছে দাড়িভিট হাই স্কুলে। বিক্ষোভকারীরা হুমকি দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার যদি ধৃতেরা জামিন না পান, সেক্ষেত্রে বুধবার থেকে ফের স্কুলের গেট বন্ধ করে আন্দোলন শুরু হবে। শেষপর্যন্ত ধৃত আটজন গ্রামবাসীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আদালত।
ইসলামপুর কাণ্ডে ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে ধৃতদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে ইসলামপুর মহকুমার আদালত। বিচারকের নির্দেশ, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন প্রাপকদের সপ্তাহে একদিন ইসলামপুর থানায় হাজিরা দিতে হবে। আদালতে জমা রাখতে হবে জমির দলিলের খতিয়ানও। স্কুল বন্ধ রেখে আন্দোলন না করার আশ্বাস দিয়েছেন নিহতদের পরিবার ও গ্রামবাসীরাও। তবে স্কুলের পাশে মঞ্চ বেঁধে ধরনা যেমন চলছে, তেমনি চলবে।
ছবি: দীপিকা দে
[২০০ কিলোমিটার গতির ইঞ্জিন গড়েও প্রশ্নের মুখে রেল]