Advertisement
Advertisement
Railway

রেলে চাকরির নামে প্রতারণা কাণ্ডে বিজেপি যোগ! উঃ ২৪ পরগনা থেকে ধৃত এক নেতা-সহ ২

অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

A BJP leader has been arrested in a Rs 41 lakh fraud case in the name of a railway job | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 2, 2020 5:11 pm
  • Updated:October 2, 2020 5:13 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় রেলে চাকরির নামে প্রতারণার ঘটনায় নয়া মোড়। ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে আউশগ্রামের গুসকরা (Guskhara) ফাঁড়ির পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক বিজেপি নেতা ও এক কর্মীকে। ধৃতদের জেরা করে চক্রে আর কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

গুসকরার বাসিন্দা সব্যসাচী মণ্ডল নামে এক যুবক সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেন, রেলে চাকরির নাম করে তার থেকে টাকা নিয়ে শেষে জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এক মহিলা- সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে গত সোমবার রাতে। তাদের মধ্যে ভৈরব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ণিমা দে নামে দুইজনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে হানা দেয় উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরে। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিবাকর রায়কে। তারপর ওই জেলার বীজপুর এলাকায় হানা দিয়ে রাজেশ প্রামানিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দিবাকর উত্তর দমদম কেন্দ্রের উত্তর মণ্ডলের বিজেপির তপশিলি মোর্চার সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলাতেন। যদিও ওই মণ্ডলের বিজেপির তপশিলি মোর্চার সভাপতি অভিষেক বিশ্বাসের সঙ্গে এদিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দিবাকর রায় যে আমাদের মণ্ডলের দলের তপসিলি মোর্চার সহ-সভাপতির পদে ছিলেন তার কোনও লিখিত নির্দেশ নেই। তবে তিনি আমাদের এলাকায় দলের সক্রিয় কর্মী।” পাশাপাশি প্রতারণার ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেকবাবু বলেন, “আমি জানিনা বিষয়টা ঠিক কি ঘটেছে। তবে যদি তিনি সত্যিই এমন কার্যের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে আইনত বিচার হোক।” জানা গিয়েছে, ধৃত রাজেশও বিজেপির সক্রিয় কর্মী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মমতাকে টুইট খোঁচার পালটা জবাব, ধনকড়কে ‘নৈ-রাজ্যপাল’ বলে কটাক্ষ মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর]

পুলিশের কাছে জেরায় ভৈরব জানায়, সে টাকা তুলে দিবাকরকে জমা দিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাংক আ্যকাউন্টের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হত। কখনও ভৈরব সরাসরি টাকা দিয়ে আসত দিবাকরের হাতে। ভৈরবের কথায়, একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজের সুবাদে তার সঙ্গে দিবাকরের যোগাযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে ভৈরব ও আরও কয়েকজন মিলে গত ৬ মাসে একাধিক আ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দিবাকরকে দিয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। দিবাকর আবার কখনও কখনও রাজেশের হাত দিয়ে অন্য একজনের কাছে টাকা পাঠাত বলেও জানা গিয়েছে। তবে কে সেই ব্যক্তি পুলিশ এখনও জানতে পারেনি। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে ধৃত দিবাকর ও রাজেশের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছবি: জয়ন্ত দাস

[আরও পড়ুন: রেলের পিলারে হাঁটু মোড়া অবস্থায় ঝুলছে যুবকের দেহ! খুন নাকি আত্মহত্যা? ধন্দে পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ