Advertisement
Advertisement
বিজেপি

ভোট পরবর্তী হিংসার জের, বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

এই ঘটনার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিজেপি।

A BJP worker brutally killed in Nadia, TMC accused
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 17, 2019 12:04 pm
  • Updated:May 17, 2019 8:40 pm

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: নদিয়ার চাপড়ার ভীমপুরে বিজেপি কর্মীকে খুনের প্রতিবাদে সরব দল। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি ও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাঙ্গি ভীমপুর থানা হলেও, চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। বুধবার রাতে গরমে এলাঙ্গির বাড়ির কাছে একটি মাঠে শুয়েছিলেন হারাধন। তখনই লাঠি ও বাঁশ হাতে কয়েকজন হারাধনের উপর চড়াও হয়। তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। পেশায় কৃষক হারাধনকে গুরুতর জখম অবস্থায় নিকটবর্তী একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরও তাঁর অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে শুরু করে। ফলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হলে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দেহ নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশের সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু পুলিশ তাতে বাধা দেয়। দীর্ঘক্ষণ দেহ আগলে রবীন্দ্রভবনের সামনে প্রায় ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপি নেতৃ্ত্ব। 

Advertisement

agitation-kalyan-choubey  

Advertisement

[ আরও পড়ুন: একবুক ক্ষোভের আগুন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন মথুরাপুরের বারো হাজার ইটভাটা শ্রমিক ]

খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে নদিয়া জেলা উত্তর বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকারের অভিযোগ, তৃণমূলের ওই এলাকায় পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই আতঙ্কিত হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে যে আক্রমণ শুরু করেছিল, সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে তারা। হারাধনকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। এলাকার বিজেপি নেতা চূর্ণী চক্রবর্তী  বলেন, “ওকে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও মারধর করা হয়। বুধবার রাতে হারাধনকে চিকিৎসার জন্য যখন শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখনও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ডেকেও পাওয়া যায়নি। আমরা এ নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।”

এদিকে ঘটনায় তৃণমূলের জড়িত থাকার অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের চাপড়া ব্লক সভাপতি জেবের শেখ বলেন, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ একটা গ্রাম্য বিবাদ। ওই এলাকায় সুজিত বিশ্বাস নামে এক যুবককে হারাধন মারধর করেছিল। তাই এলাকার লোকজন ওকে পিটিয়ে মারে।” 

ছবি- সুজিত মণ্ডল

[ আরও পড়ুন: বারুইপুরে পুলিশের নাকা চেকিং, প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা-সহ গ্রেপ্তার পাঁচ বিজেপি নেতা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ