Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা রোগী

উপসর্গ থাকলেও আতঙ্কে সময়মতো করাননি পরীক্ষা, পাথরপ্রতিমায় মৃত্যু করোনা রোগীর

মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশী মিলিয়ে আক্রান্ত আরও ১১ জন।

A corona patient died due to negligence in PatharPratima
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 27, 2020 7:52 pm
  • Updated:August 27, 2020 7:52 pm

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ভয়ে করোনা পরীক্ষা না করানোয় শুরু হয়নি সময়মতো চিকিৎসাও। তারই মাশুল দিতে হল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমার উত্তর মহেন্দ্রপুর গ্রামের বছর আটচল্লিশের এক ব্যক্তিকে। চিকিৎসা শুরুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকদের মতে, ওই ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেক দেরিতে করোনা পরীক্ষা করেছেন। তাই চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হয়েছে। এদিকে মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের আরও ১১ জনের শরীরে বৃহস্পতিবার অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় মিলেছে করোনার সন্ধান।

পাথরপ্রতিমার দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর মহেন্দ্রপুরের বাসিন্দা তিনি। গুরুদাসপুর মহেন্দ্র ইন্দ্র বিদ্যামন্দির স্কুলের অশিক্ষক কর্মচারী ছিলেন। আটচল্লিশ বছরের ওই ব্যক্তি সপ্তাহখানেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। ছিলেন বাড়িতেই। উপসর্গ থাকলেও ভয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে চাননি। কিন্তু কোনও ওষুধেই জ্বর ও কাশি কমছে না দেখে প্রতিবেশীরা একরকম জোর করেই বুধবার সন্ধেয় তাঁকে নিয়ে যান স্থানীয় গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় পাথরপ্রতিমা হাসপাতালে। অসুস্থ ওই ব্যক্তির অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁকে পাঠানো হয় কাকদ্বীপ সেফ হোমে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকরা জানান, অনেক দেরি করে আনা হয়েছে। আরও আগে করোনা পরীক্ষা করানো হলে এই ঘটনা ঘটত না। এদিকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের ছ’জন সহ তাঁর সংস্পর্শে আসা মোট ১৭২ জনের বৃহস্পতিবার ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়। তাঁদের ১১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের চারজনকে জোকা কোভিড হাসপাতাল ও বাকি সাতজনকে কাকদ্বীপ সেফ হোমে রাখা হয়েছে।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিনের মানব ট্রায়ালের অভিজ্ঞতা কেমন, দুর্গাপুরে ফিরে জানালেন যুবক]

এদিকে, বজবজ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একই পরিবারের ছ’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য গৌতম দাশগুপ্ত। করোনার দাপট কমেনি মহেশতলা ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকাতেও। হদিশ মিলছে আক্রান্তের। কনটেনমেন্ট জোনে এতদিন না থাকলেও নতুন করে করোনা সংক্রমণের হদিশ মেলায় বারুইপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনায় ছেদ দাম্পত্যে, ভাইরাস সংক্রমিত জানতে পেরেই স্বামীকে বাড়িছাড়া করল স্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ