নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ভিড়ের সুযোগ নিয়ে আদালত থেকে হাতকড়া পড়েই চম্পট দেয় এক মাদক কারবারি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর পেয়ে সজলের নেশার ঠেকে হানা দেয় পুলিশ। নিজেকে বাঁচাতে শেষপর্যন্ত একটি কলেজে ঢুকে পড়ে সজল। বেশকিছুক্ষণ চোর-পুলিশ খেলার পর কলেজের পড়ুয়াদের সাহায্যে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। বুধবার সকালের এই ঘটনায় সিউড়ি আদালত চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
মাদকের কারবার করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই সিউড়ি হাটজনবাজার কলোনি থেকে সজল চক্রবর্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদকও উদ্ধার হয়। সজল নিজেও মাদকের নেশাগ্রস্ত। বুধবার তাকে সিউড়ি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, ১৫ জন পুলিশ ৭৬ জন অভিযুক্তকে এজলাসে তোলে। অভিযুক্তদের গণনার সময় দেখা যায় সজল চক্রবর্তি পালিয়েছে। হাতে হাতকড়া নিয়েই ফেরার সে। ঘটনা সামনে আসতেই হুলস্থূল পরে যায়। পুলিশ প্রথমে সজলের বাড়ি, পরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার খোঁজ শুরু করে। কিন্তু হদিশ মেলেনি। এরপর নেশার ঠেকগুলিতে খোঁজ নিতে শুরু করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর মেলে, সিউড়ির উপকন্ঠে তিলপাড়ার সতীঘাটের শ্মশানের নেশার ঠেকে সজলের হদিশ মিলতে পারে। বাইক নিয়ে সেখানেই হানা দেয় কনস্টেবল মীর আলম হোসেন । প্রসঙ্গত, মীরই সজলকে আদালতে এনেছিলেন।
[আরও পড়ুন : নিভল আলো-বন্ধ হল সানাই, শ্যালিকার বিয়ের দিনই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার জামাইবাবুর]
এদিকে পুলিশকে শ্মশানে ঢুকতে দেখেই পালানোর চেষ্টা করে সজল। সামনের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও ঢুকে পড়ে সে। কলেজ চত্বরে চোর-পুলিশের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করে দেয় কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। শেষে কলেজ ছাত্রদের সহযোগিতায় সজল ধরা পরে। বাইকে চাপিয়ে তাকে ফের আদালতে হাজির করে আদালতের কনস্টেবলরা। এদিকে সজল জানায়, “ভিড়ের মাঝে তার হাতকড়া ছেড়ে যায়। নিজেকে মুক্ত ভেবেই আদালতের বড় গেট দিয়েই বাইরে বেরিয়ে যায়। সোজা পায়ে হেঁটে হাজির হই নেশার ঠেকে।”
[আরও পড়ুন : হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই গ্রেপ্তার পোলবার পুলকার চালক, রুজু অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা]
জানা গিয়েছে, সজলের বিরুদ্ধে ফের আদালত থেকে পালানোর একটি অভিযোগে মামলা রুজু হবে। জেলা পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, আদালতের তরফে বাড়তি পুলিশ চাওয়া হয়নি। তাই ১৫ জন পুলিশ দিয়েই অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যেতে হবে।