সোমনাথ পাল, বনগাঁ: মদ্যপানে অল্প-বিস্তর আসক্তি অনেকেরই থাকে। কিন্তু, নেশা মাত্রা ছাড়ালেই বিপদ! আর সেটাই এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বনগাঁর মহিম মণ্ডলের পরিবার। নেশার ঘোরে নিজের বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি! পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল, যে আগুন নেভাতে দমকলকে ডাকতে হয়। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। বাড়ির রান্নাঘরটি আংশিকভাবে পুড়ে গিয়েছে। বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন পরিবারের লোকেরা। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত।
[প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ছাড়পত্র, এবার ওয়াঘার মতো ফুলবাড়িতেও ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’]
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ভিড়া গ্রামে বাড়ি মহিম মণ্ডলের। গ্রামে চাষ-আবাদ করে দিন গুজরান করেন তিনি। স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রকে নিয়ে থাকেন বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, মদ্যপানে রীতিমতো আসক্ত মহিম। রোজ রাতে আকণ্ঠ মদ্যপান করে বাড়ি ফেরেন তিনি। স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল অশান্তিও হয়। বুধবার রাতেও যথারীতি মদের নেশায় বেসামাল স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর অশান্তি হয়েছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাত দশ নাগাদ স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে যখন ঘুমোচ্ছিল, তখন নেশার ঘোরে বাড়ির উঠানে রাখা পাঠকাঠির স্তুপে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় মহিম। চোখের নিমেষে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে মহিম মণ্ডলের স্ত্রী ও ছেলের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও বনগাঁ থানার পুলিশ। আগুন নেভাতে প্রায় আধঘণ্টা লেগে যায়। আগুনে বাড়ির রান্নাঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত মহিম মণ্ডল। মহিমের কীর্তিতে হতবাক গ্রামবাসীরা। সময়মতো ঘটনাটি নজরে না এলে কী হত? তা ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকেই।
[বউভাতের দিন মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার, নজির মালবাজারের নবদম্পতির]