ছবি: জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: আদিবাসী কিশোরীর গণধর্ষণের (Gangrape) পরেও দায়ের হল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগে সরব এক আদিবাসী কিশোরীর পরিবার। আর এই অভিযোগেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রে ভাতার থানা চত্বর। সুবিচারের দাবিতে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়ক অবরোধও করেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) থানার নৃসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা আদিবাসী কিশোরী ওইদিন সন্ধেয় খালের পাশে শৌচকর্ম সারতে যায়। অভিযোগ, সেই সময় শেরুয়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ রেজাউল, শেখ জামাল নামে দুই যুবক বাইকে চড়ে আসে। আদিবাসী কিশোরীকে জোর করে বেশ কিছুটা দূরে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর কিশোরী বাড়ি ফিরে আসে। সে জানায় ওই যুবকেরা গণধর্ষণ করেছে তাকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কিশোরীর পরিজনেরা ভাতার থানায় যান। তবে তাঁদের দাবি, পুলিশ গণধর্ষণের অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি। পকসো আইনে শুধুমাত্র শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমনকী পুলিশ কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষাও করায়নি বলেই দাবি। কিশোরীর পরিবারই শারীরিক পরীক্ষায় রাজি হয়নি, জোর করে এমন বয়ানে সই করিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার শেখ রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ (Police)। তবে এখনও অধরা শেখ জামাল। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও কেন গ্রেপ্তার করা হল না অভিযুক্তদের তা নিয়েই তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। বৃহস্পতিবার সকালে ভাতার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। তীর, ধনুক, লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়ক অবরোধও করেন তাঁরা। ভাতার থানার ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে উদ্যত হন। তবে ‘মিথ্যে’ প্রতিশ্রুতিতে কোনওভাবে তাঁরা মানবেন না বলেই দাবি অবরোধকারীদের। ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা না গেলে অবরোধ জারি থাকবে বলেই দাবি তাঁদের। এদিকে, রাজ্য সড়কে অবরোধের জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে আটকে পড়ে একাধিক গাড়ি। অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া কোনও যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.