Advertisement
Advertisement

Breaking News

A girl committed suicide in Burdwan

শখ করে কেনা ছাগলের মৃত্যু, শোকে পোষ্যর দড়ির ফাঁসে আত্মঘাতী নাবালিকা

পোষ্যর মৃত্যুর পর থেকে শুধুই কেঁদে যাচ্ছিল ওই নাবালিকা।

A girl committed suicide in Burdwan । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 10, 2022 10:49 am
  • Updated:September 10, 2022 10:49 am

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: শখ করে ছাগল কিনেছিল। তার‌ সঙ্গে খুব ভাবও ছিল। দিনভর খেলার সঙ্গী ছিল সেটি। কিন্তু আচমকাই মৃত্যু হয় সেই ছাগলটির। সেই শোকে ছাগল বাঁধার দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী নাবালিকা। শুক্রবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বাঁধগাছা গ্রামে। মৃতের নাম বৃষ্টি বাউড়ি (১১)। পোষ্যর মৃত্যুশোকে এভাবে নাবালিকার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় হতবাক গ্রামের সকলে।

শুক্রবার সকাল থেকে বাড়িতে একাই ছিল বৃষ্টি। বাবা-মা কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরে তার ঘরে যান। দেখেন ঘরের ছাউনি থেকে ঝুলছে বৃষ্টি। তড়িঘড়ি দড়ি কেটে নিচে নামানো হয় তাকে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। পরে রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে ফের তৎপর ইডি, কলকাতার ৩ জায়গায় অভিযান আধিকারিকদের]

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে ওই নাবালিকা। তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চক্রবর্তী বলেন, “খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক একটা ঘটনা। পরিবার ও প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে পোষ্যর মৃত্যুতে ভেঙে পড়ছিল মেয়েটি।”

Advertisement

কিছুদিন আগে নিজেই ছাগলটি কিনেছিল বৃষ্টি। ওর সঙ্গেই দিন কাটত তার। কয়েকদিন আগে ছাগলটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে পোষ্যর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন সেটিকে গ্রামের‌ ভাগাড়ে ফেলে আসেন। পোষ্যর মৃত্যুর পর থেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিল বৃষ্টি। পরিবার বা পড়শিদের কেউ বুঝতেই পারেননি এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে বৃষ্টি। তার বাবা সুধন বাউড়ি বলেন, “ছাগলটাকে খুব ভালবাসত আমার মেয়ে। ওকে নিয়েই পড়ে থাকত। ক’দিন ধরে শরীর খারাপ হওয়ায় স্থানীয় লোকের কাছে কথা বলে ওষুধও এনে খাইয়েছি ছাগলটিকে। মারা যাওয়ার পরে বৃষ্টি খুব কাঁদছিল। কিন্তু নিজেকে এভাবে শেষ করে দেবে এটা ভাবতে পারিনি আমরা। তাহলে আজ আমরা কাজে যেতাম না।” এদিন পড়শিরা ভিড় করেছিলেন বৃষ্টিদের বাড়িতে। সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই নাবালিকার শোকে। তাঁদেরও একই কথা, পোষ্যর শোকে কেউ এমন কাজ করতে পারে তা ভাবতেও পারছেন না তাঁরা।

[আরও পড়ুন: পর্ন শুটিংয়ের কথা জানতে পারায় ‘গণধর্ষণ’, তদন্তে গড়িমসিতে ক্লোজ বারাসত মহিলা থানার SI]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ