স্টাফ রিপোর্টার : লালু-ভুলু-কালু, এরা কেউই নাম করা সমাজসেবক নয়। তবে পাড়ায় যে কোনও আবর্জনা পড়লে সাফ করে দেয় এক মুহূর্তে। রাতবিরেতে গ্রামের মধ্যে কেউ এলে এক নিমেষে তাদের গ্রামছাড়া করে দেয়। দুইপেয়ে হোক বা চারপেয়ে, এদের জন্য কেউ পাড়ায় ঢুকতে পারে না। পাড়ায় শীতের রাতে দাপাদাপি এদেরই। এর-ওর বাড়িতে খেয়ে দিন চলে। এহেন লালু-ভুলু-কালু এখন পাড়ার ভিআইপি!
[‘আগুনে হাত দেবেন না’, সুকনার জনসভা থেকে চামলিংকে হুঁশিয়ারি বিনয়ের]
তবে এরা প্রথম থেকেই কেউই ভিআইপি ছিল না, ভিআইপি হয়ে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটে রবিবার ভোরে। ক্যানিং থানার হাটপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীসাবাদ এলাকায়। ভোরে স্থানীয়রা নমাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় দেখতে পান আবদুল রহিম মোল্লা নামে এক ব্যক্তির গোয়ালঘরে কিছু একটা পাহারা দিচ্ছে লালু-ভুলু। অন্যদিকে কালু রাস্তায় পথচলতি মানুষকে কিছু একটা বোঝাতে চাইছে লেজ নেড়ে। প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও বাড়ির মালিক আবদুল পরে কালুর পিছন পিছন গিয়ে দেখেন গোয়ালঘরে একটি ফুটফুটে শিশুকন্যাকে পাহারা দিচ্ছে তিন সারমেয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মানুষ জড়ো হয় সেখানে। খোঁজ করা হয় বাবা-মায়ের। কিন্তু খোঁজ মেলেনি কারও।কিন্ত সঙ্গে সঙ্গে এলাকার লোকেরা স্থানীয় থানায় খবরটি পৌঁছে দেন এবং সেখান থেকে বাচ্চাটির বাবা-মায়ের খোঁজখবর চলছে।
শিশুটিকে এলাকায় ধাইমা বলে পরিচিত অছিলা বিবি নামে এক মহিলা নিয়ে যান। স্থানীয়রা জানান, বাচ্চাটি ওড়নায় জড়ানো ছিল। নাড়ি কাটা থাকলেও বাকি অংশটি লম্বা হয়ে ঝুলছিল নবজাতকের শরীরের থেকে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে এসিএমওএইচ ডা. ইন্দ্রনীল সরকার বলেন ‘এভাবে পরিত্যক্ত কোনও বাচ্চা ইচ্ছা করলেই নেওয়া যায় না। তাকে হাসপাতালে রাখতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার পর সুস্থ হলে হোমে পাঠানো হবে। তারপর হোমই সিদ্ধান্ত নেবে শিশুটির বিষয়ে’।