জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কখনও কড়া ভাবে, কখনও আবার বুঝিয়ে লকডাউনে সকলকে ঘরে থাকার আবেদন করেছে পুলিশ-প্রশাসন। এবার বনগাঁর আদিবাসী অধুষ্যিত মুড়িঘাটার বাসিন্দাদের ঘরবন্দি রাখতে অন্য ফন্দি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার আরটিও(RTO) বোর্ডের সদস্য গোপাল শেঠ। ঘোষণা করলেন, গ্রামে করোনা প্রবেশ করতে না পারলে সব মহিলা পাবেন নতুন শাড়ি।
দেশ ও রাজ্যের পরিস্থিতি জানা সত্ত্বেও প্রতিদিনই কিছু মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে। কেউ প্রতিদিনের অভ্যাসবশত ঢুঁ মারছেন চায়ের দোকানে। কেউ আবার লকডাউনকে ছুটি হিসেবে গণ্য করে হাজির হচ্ছেন বন্ধুদের মাঝে। আর কিছু মানুষ যাদের বের হতে হচ্ছে পেটের দায়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরা জানেন না এই মারণ ভাইরাসের ক্ষমতা আসলে কতটা। এমনই বনগাঁর আদিবাসী অধুষ্যিত মুড়িঘাটার বাসিন্দারা। লোকমুখে হয়তো শুনছেন করোনার নাম, কিন্তু অনুমানও করতে পারছেন না ভয়াবহতা। তাই নিয়মিত হাটে-বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামবাসীরা ব্যবসার জন্য।
[আরও পড়ুন: করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, স্রেফ আতঙ্কে দিল্লি ফেরত যুবককে একঘরে করল প্রতিবেশীরা]
এই খবর কানে যেতেই নড়েচড়ে বসেন উত্তর ২৪ পরগনার আরটিও (RTO) বোর্ডের সদস্য গোপাল শেঠ। চাল, ডাল, তেল, লবন নিয়ে ওই গ্রামে হাজির হন গোপাল বাবু। প্রায় ৪০০ আদিবাসী পরিবারের হাতে তুলেদেন খাদ্যসামগ্রী। সকলকে বোঝান যে কীভাবে করোনা সংক্রমিত হয়। এরপরই লকডাউনে গ্রামবাসীদের ঘরে আটকে রাখতে ফন্দি আঁটেন তিনি। বলেন, আপনারা যদি সচেতন থাকেন। এই কদিন ঘরে থাকেন তাহলে কোনও ভাবেই কেউ করোনা আক্রান্ত হবেন না। আর যদি কেউ আক্রান্ত না হন তাহলে প্রত্যেকে উপহার পাবেন নতুন শাড়ি। কিন্তু একজনের শরীরেও যদি ভাইরাস মেলে তাহলেই কেউ শাড়ি পাবেন না। সমস্বরে ঘরে থাকতে রাজি হয়ে যান সকলে। কিন্তু আদৌ গোপাল বাবুর এই প্রলোভন ওই প্রত্যন্ত গ্রামকে করোনার থাবা থেকে বাঁচাতে পারে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। গোপালবাবুর এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সবমহল।
[আরও পড়ুন: রক্তশূন্য ব্লাড ব্যাংক, মানবিকতার নজির গড়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্তদান মেডিক্যাল অফিসারের]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি লকডাউন, সেসব তোয়াক্কা না করে মাঝে মধ্যেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকে।
- আদিবাসী অধুষ্যিত মুড়িঘাটার বাসিন্দাদের ঘরবন্দি রাখতে অন্য ফন্দি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার আরটিও(RTO) বোর্ডের সদস্য গোপাল শেঠ।
- ঘোষণা করলেন, গ্রামে করোনা প্রবেশ করতে না পারলে সব মহিলা পাবেন নতুন শাড়ি।