Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাড়িতে ঢুকে যুবককে লক্ষ্য করে গুলি প্রতিবেশীর, চাঞ্চল্য রানাঘাটে

আটক অভিযুক্ত, বাড়িতে ভাঙচুর স্থানীয়দের।

A neighbour shoot at a private tutor in Ranaghat
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 11, 2018 3:46 pm
  • Updated:September 12, 2019 3:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাটে বাড়িতে ঢুকে গৃহশিক্ষককে লক্ষ্য করে গুলি চালাল প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। বুকে গুলি লেগেছে। চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ গৃহশিক্ষককে আনা হয়েছে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে। এদিকে, ঘটনার পর অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তকে আটক করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।

[স্কুলের গেট থেকে ৩ ছাত্রীকে অপহরণ, উঠছে পাচারের অভিযোগ]

Advertisement

রানাঘাট শহরের রাজবাগান পাড়া এলাকায় থাকেন শংকর কুণ্ডু। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক। সারা দিন বাড়িতে ব্যাচ করে ছাত্র পড়ান শংকর। তাঁর প্রতিবেশী সমরজিৎ প্রামাণিক। শংকর কুণ্ডুর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সমরজিতের কোনও রোজগার নেই। পুরোপুরি বেকার তিনি। প্রতিবেশীর ছেলেকে একসময়ে পড়াতেন শংকর। কিন্তু, মাস তিনেক ছেলেকে কোচিং থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান সমরজিৎ। রবিবার টিউশনি ছিল না। তাই বাড়ির একতলায় মাকে রান্নার কাজে সাহায্য করছিলেন শংকর। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, আচমকাই তাঁদের বাড়িতে হাজির হন সমরজিৎ। শংকরকে দোতলার ঘরে যেতে বলেন তিনি। দুজনে একসঙ্গে দোতলায় চলে যান। কিছুক্ষণ পরেই বিকট শব্দ শুনতে পান শংকরের মা ও ভাই। দোতলা ঘরে গিয়ে তাঁরা দেখেন, শংকরের বুক দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। সামনেই দাঁড়িয়ে আছে সমরজিৎ-ও। পরিবারের লোকের দাবি, তখন নাকি তাঁর হাতে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। ওই গৃহশিক্ষককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শংকর কুণ্ডুকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে, ঘটনার পর পালাতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যান অভিযুক্ত সমরজিৎ প্রামাণিক। তাঁক বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। সমরজিৎকে আটক করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।

Advertisement

[পোশাকে আপত্তি, ছাত্রীদের শৌচালয়ে ঢুকলেন প্রধান শিক্ষক]

কিন্তু, কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন বছর সাতচল্লিশের ওই ব্যক্তি? আক্রান্তের মায়ের অভিযোগ, কোনও কাজকর্ম করত না সমরজিৎ। দিনভর এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াত। শংকর বাড়িতে প্রচুর টিউশনি করান, তাঁকে হিংসা করতেন সমরজিৎ। তাই বাড়িতে চড়াও হয়ে শংকরকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে সে। অভিযুক্ত সমরজিৎ প্রামাণিকের পাশে দাঁড়ায়নি তার পরিবারের লোকেরাও। সমরজিতের বাবা জানিয়েছেন, ছেলে তিনবার বিয়ে করেছে। কিন্তু, কোনও বিয়েই টেকেনি। কাজকর্মও করত না সমরজিৎ। এই নিয়ে বাড়িতে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। ছেলের ফাঁসির দাবি তুলেছেন সমরজিতের বাবা।

ছবি: সুজিত মণ্ডল

[স্বামী পরিচয় দিয়ে ভরতি, মৃত্যুর পর আচমকা উধাও পরিজন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ