আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: আচমকাই ভেঙে পড়ল ঐতিহ্যবাহী মোহিনী কটন মিলের একাংশ। বহু বছর ধরে বন্ধ থাকা বেলঘরিয়ার এই কটন মিলের একাংশ সোমবার দুপুরে রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে। বেলঘরিয়া স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার উপর ধসে পড়ে বন্ধ কারখানার একাংশের ছাদ-সহ ইটের দেওয়াল। যদিও সেই সময় বেলঘরিয়া স্টেশন থেকে নন্দননগর-সহ একাধিক রুটের কোন অটো, টোটো না থাকায় বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। মোহিনী কটন মিল ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা। এরপর জেসিবি দিয়ে ধংসস্তূপ সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।
[ আরও পড়ুন: ‘মিড-ডে মিল নয়, শিক্ষক চাই’, প্ল্যাকার্ড হাতে জেলাশাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ খুদে পড়ুয়াদের ]
জানা গিয়েছে, ১৯৮১ সালে এই ঐতিহ্যবাহী কটন মিলটি কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীকালে ১৯৮৮ সালে মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হবার সময় ওই মিলটিতে প্রায় এক হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। যদিও মিলটি বন্ধ হওয়ার পরে অনেক শ্রমিক অভাবের তাড়নায় মারা যান। আবার অনেকে বকেয়া টাকা না পেয়ে আত্মহত্যাও করেন বলে বেঁচে থাকা শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ। বেঁচে থাকা গুটিকয়েক শ্রমিক পরিবার এখন ওল্ড নিমতা রোডের মিলের কোয়ার্টারে বসবাস করছেন। সেই কোয়ার্টারটির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ ও ভঙ্গুর। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কিন্তু তাদের উপায় না থাকায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই ওই কোয়ার্টারে বসবাস করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
[ আরও পড়ুন: লোকসানের প্রতিবাদ, কাঁকসায় তেল সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত ৩টি ট্যাঙ্কার সংগঠনের ]
দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা কারখানার প্রায় অধিকাংশ জায়গা বনজঙ্গলের স্তূপে ভরে গিয়েছে। রাত হলে সেখানে নেশাখোরদের আড্ডা খানায় পরিণত হয় বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষজন রাতে ওই কারখানাটির পাশের রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় পায়। বহুদিন এভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সোমবার ভেঙে পড়ে মোহিনী কটন মিলের একাংশ। এপ্রসঙ্গে পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, মিলটি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা অধিগৃহীত ছিল। তাই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.