বাবুল হক, মালদহ: পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন বন্দির রহস্যমৃত্যু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকা। নিহতের পরিজনদের দাবি, বাঁশ দিয়ে পুলিশ বেধড়ক মারধর করায় মৃত্যু হয়েছে ওই বন্দির। যদিও পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। নিহত ওই বন্দির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
গাঁজা কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বছর তিপ্পান্নর বাবলু শেখ। গভীর রাতে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের একটি দল জৈনপুরে অDভিযান চালায়। আফিম-সহ গাঁজা কারবারের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। সন্দেহজনক হিসাবে বাবলু শেখকেও বাড়ি থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। পুলিশের কাজে বাধা দেয় বাবলু। তার পরিবারের অভিযোগ, বাবলুকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। বৈষ্ণবনগর থানা নিয়ে আসার সময় পথেই অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবলু। পুলিশ হেফাজতে ঢোকানোর পরই অচৈতন্য হয়ে যায় বাবলু। এরপর পুলিশকর্মীরা বাবলুকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বেদরাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বাবলুকে মৃত বলে জানান।
নিহতের পরিজন এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় মিথ্যা অভিযোগে বাবলুকে আটকের পর মারধর করে। সে কারণেই মৃত্যু হয়েছে বাবলুর। তার পরিবারের তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগে বৈষ্ণবনগর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশকর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও পুলিশের তরফে নিহতের পরিজনদের দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, হৃদরোগেই মৃত্যু হয়েছে বন্দির। বাবলু শেখের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরই গোটা ঘটনাটি স্পষ্ট হবে বলেই দাবি তদন্তকারীদের।
দিনকয়েক আগে কোচবিহারেও সংশোধনাগারে থাকাকালীন এক বন্দির রহস্যমৃত্যু ঘটে। পুলিশের অত্যাচারে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করেন তাঁর পরিজনেরা। যদিও পরিবারের দাবি মানতে নারাজ পুলিশকর্মীরা। শারীরিক অসুস্থতার জেরে ওই বন্দি মারা গিয়েছেন, এই যুক্তিতে অনড় তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.