BREAKING NEWS

১৯ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  সোমবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

পাঁচ রাজ্যের রায়

মিজোরাম (৪০/৪০) এগিয়ে / জয়ী
এমএনএফ ১০
জেডপিএম ২৭
কংগ্রেস
বিজেপি
অন্যান্য
মধ্যপ্রদেশ (২৩০/২৩০) জয়ী
বিজেপি ১৬৪
কংগ্রেস ৬৫
অন্যান্য
রাজস্থান (১৯৯/২০০) জয়ী
বিজেপি ১১৫
কংগ্রেস ৬৯
অন্যান্য ১৫
ছত্তিশগড় (৯০/৯০) জয়ী
বিজেপি ৫৪
কংগ্রেস ৩৫
অন্যান্য
তেলেঙ্গানা (১১৯/১১৯) জয়ী
বিআরএস ৩৯
কংগ্রেস ৬৪
বিজেপি
এআইএমআইএম
অন্যান্য

উইকেট দিয়ে বেধড়ক মার শিক্ষকের, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছাত্র

Published by: Sayani Sen |    Posted: March 4, 2020 9:13 pm|    Updated: March 4, 2020 9:13 pm

A school teacher allegedly beaten his student in East Burdwan

সৌরভ মাজিবর্ধমান: ব্যাগ তোলাকে কেন্দ্র করে স্কুল ছাত্রকে নির্মমভাবে উইকেট দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষকের বেদম প্রহারে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি ওই ছাত্র। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের চাগ্রাম হাইস্কুলের। জখম দশম শ্রেণির ছাত্রের বাবা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে খণ্ডঘোষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ইংরাজির শিক্ষক জহরলাল কোঙার অবশ্য বুধবার আর স্কুলে আসেননিমোবাইল সুইচড অফ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি

জখম ছাত্র জানায়মঙ্গলবার তাদের সহপাঠী সায়ন্তন সাঁইয়ের ব্যাগটি নিচে পড়েছিল। জহরবাবু ক্লাসে এসে ওই ছাত্রকে ব্যাগটি তোলার জন্য বলেন। তখন সে জানায়ব্যাগটি তার নয়। প্রহৃত ছাত্র বলে, “এরপরই জহরবাবু আমাকে চড়কিলঘুসি মারতে থাকেন। মারতে মারতে ক্লাসের বাইরে বের করে দেন। টিফিনের আগে চড়া রোদে বাইরে কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেন।” কিছু পরে কয়েকজন এসে তাকে বলে স্টাফরুমে দিদিমণি ডাকছেন। এই শুনে সে স্টাফরুমের কাছে যায়এরপরই জহরবাবু তাকে দেখতে পেয়ে উইকেট দিয়ে মারধর শুরু করেন বলেই অভিযোগ জখম ছাত্রের। কয়েকজন শিক্ষকশিক্ষিকা তাকে উদ্ধার করে। জখম অবস্থায় খণ্ডঘোব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেক চিকিৎসক তাকে বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইউএসজিসিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষা করানো হয়েছে। তার মুখের একাংশে কালশিটে পড়ে ফুলে গিয়েছে

[আরও পড়ুন: অজানা চোখের রোগে আতঙ্ক কাটোয়ায়, আক্রান্ত একই পরিবারের বহু]

তবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক জানিয়েছেন, বুধবার সকালেই তিনি এই ঘটনাটি জানতে পেরেছেন। বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষাহুমায়ুন বিশ্বাসও জানিয়েছেনএকজন শিক্ষকের উচিত হয়নি এইভাবে মারধর করা। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনিস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্র দাঁর সঙ্গেও বারবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে এই প্রথমবার নয়এর আগেও কয়েকবার একইভাবে পড়ুয়াদের সামান্য অজুহাতে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জহরলালবাবুর বিরুদ্ধে। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল আগের ঘটনাগুলিতেও

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছেজহরবাবুর মোটর সাইকেলের পাদানিতে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে এক ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধেজখম ছাত্রের দাদা জানানতাপসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির ছেলেকে এমন মেরেছিলেন জহরলালবাবুকে যে ওই ছাত্রকে ১৫ দিন হাসপাতালে ভরতি থাকতে হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়। তারপর স্কুলে যোগ দিয়েই ওই ছাত্রীকে চড় মেরেছিলেন বাইকে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে। শাসনের নামে এমন নির্মমভাবে ছাত্রকে মারধর করায় এলাকার বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। আইনগতভাবেও পড়ুয়াদের মারধর করা নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও ওই শিক্ষক বারবার কোন সাহসে এমন কাজ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকদের অনেকেই

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে