দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের কুলতলির মৈপীঠে মিলল বাঘের পায়ের ছাপ। শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে আতঙ্কে নগেনাবাদ এলাকার পাইকপাড়া সংলগ্ন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। একাংশের দাবি, শুধু পায়ের ছাপই নয়, গর্জনও শুনেছেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, একটি নয়, ঘুরে বেড়াচ্ছে ২টি বাঘ।
৬ জানুয়ারি প্রথমবার বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মৈপীঠ এলাকায়। বাঘবন্দি করতে ময়দানে নামে বনদপ্তরের কর্মীরা। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। দিনদুয়েক পর নদীর পাড়ে মেলে বাঘের পায়ের ছাপ। এরপরই স্বস্তি পেয়েছিলেন মৈপীঠবাসীরা। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। রাত পেরতে না পেরতে ফের লোকালয় সংলগ্ন ম্য়ানগ্রোভে মেলে বাঘের পায়ের ছাপ। সেবারও ফিরে গিয়েছিল হলুদ ডোরাকাটা। পরবর্তীতে গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে ফের লোকালয়ের পাশের জঙ্গলে ফিরে আসে দক্ষিণরায়। স্থানীয়রা বাঘটির উপস্থিতি টের পেয়েছেন বলে দাবি করেন। জানান, গ্রামের একটি মৃত গরুকে জঙ্গলে ফেলা হয়েছিল। সেটি নাকি টেনে নিয়ে যায় বাঘ। রাতেই খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করেন কর্মীরা। মঙ্গলবার গভীররাতে মাকড়ি নদীর পাড়ে মেলে পায়ের ছাপ। ফলে মনে করা হয়, আজমলমারি জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে দক্ষিণরায়। তবে আশঙ্কা ছিলই বাঘের ফিরে আসার। সেই আশঙ্কাই কার্যত সত্যি হল।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে স্টিলের জাল দিয়ে প্রায় ৩০০ মিটার লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গল ও নদীর পাড়ের একদিক ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে সেই স্টিলের জালের পাশে মিলেছে একটি বাঘের পায়ের ছাপ। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “বাঘের পায়ের ছাপ জঙ্গলে মিলেছে। জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। নদীর ধারের এক দিকে জাল দেওয়া হয়েছে যাতে বাঘ বেরিয়ে অন্য জায়গায় উঠতে পারে। আতঙ্কের কারণ নেই। রাতে নজরদারি চলবে।” প্রসঙ্গত, গত দু’সপ্তাহে ছ’বার মৈপীঠে ফিরে এসেছে দক্ষিণরায়। ফলে আতঙ্কে সিঁটিয়ে স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.