শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফের রাজ্যে খুন এক তৃণমূল (TMC) নেতা। ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের রিঙ্কুয়া এলাকা। কাঠগড়ায় সিপিএম। ওই তৃণমূল নেতার দেহের পাশ থেকে উদ্ধার মোটরবাইক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
একরাম নামে ওই তৃণমূল নেতা উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) মাটিকুণ্ডা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনগজের পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। তিনি আগডিমটিখুন্তি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন। শুক্রবার ইসলামপুর থেকে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, রিঙ্কুয়া এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে পিছন দিক থেকে গুলি করা হয়। পিঠে গুলি লাগে তাঁর। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত হয়ে যায় গোটা এলাকা।
রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে থাকেন ওই তৃণমূল নেতারা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ততক্ষণে যদিও ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের দাবি এই ঘটনার নেপথ্যে শাসকদলেরই কোনও কর্মী জড়িত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বকে সিলমোহর দিতে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁর মতে, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। আবার কারও কারও দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে সিপিএমের (CPIM) যোগসাজশ রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। কে বা কারা খুনের সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। মার্চ মাসে আগডিমটিখুন্তি এলাকায় একটি খুনের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তৃণমূল নেতা খুনে জড়িত বলেই প্রাথমিক অনুমান জেলা পুলিশ সুপার শচীন মক্কারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.