মনিরুল ইসলাম, হাওড়া: সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক অশান্তির মাঝে পড়ে মামার শাবলের ঘায়ে মৃত্যু হল ভাগ্নির। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার সোমরুক শেখ পাড়ায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত, তার স্ত্রী ও সন্তানকে।
জানা গিয়েছে, দাদুর থেকে ১০ কাঠা জমি পেয়েছিলেন মৃত আশনারা। সেই জমিকে কেন্দ্র করেই অশান্তির সূত্রপাত। আশনারার মাসতুতো দাদা শেখ সাবিরুল জানান, ছোট থেকে মামাবাড়িতেই থাকতেন আশনারা। দাদুই তাঁর বিয়ে দেয়। ১০ কাঠা জমি উপহারও দেয়। কিন্তু মামা হাফিজুল জমি দেওয়ার বিরোধী ছিলেন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবারও জমি নিয়েই মৃত আশনারার দাদু শেখ ইজারুলের সঙ্গে মামা শেখ হাফিজুলের বিরোধ বাধে। অভিযোগ, তখন হাফিজুল তার বাবা ইজারুলকে মারধর করে। সেই সময় বাবাকে বাঁচাতে আসে আশনারার মা সুরিয়া বেগম। তখন দিদি সুরিয়াকেও আক্রমণ করে হাফিজুল। দিদির কান ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে হাফিজুলের বিরুদ্ধে। সেই সময় মামার হাত থেকে মা ও দাদুকে বাঁচাতে ছুটে আসেন আশনারা। ক্ষোভের বশে তখন ভাগ্নির উপর চড়াও হয় মামা হাফিজুল। আচমকা আশনারাকে লক্ষ্য করে শাবল ছুড়ে মারে সে।
[আরও পড়ুন: নাগাল পায়নি NIA, তার আগেই মৃত্যুদণ্ড খাগড়াগড়ের ভিলেন নাসিরুল্লার]
শাবলের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আশনারা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় আশনারা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আশনারার পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।